গাজা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের গোপন পরিকল্পনা: আরব বিশ্লেষকের সতর্কবার্তা
-
আবদুল বারি আতওয়ান
পার্সটুডে : গাজা উপত্যকার শাসন পরিবর্তন নিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল, আমেরিকা এবং কিছু আরব সরকারের গোপন পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন ফিলিস্তিন বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ লেখক ও সাংবাদিক আবদুল বারি আতওয়ান। একইসঙ্গে তিনি এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
দৈনিক রাই আল-ইয়াউম-এর প্রধান সম্পাদক আবদুল বারি আতওয়ান বিভিন্ন প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গোপনে ফিলিস্তিনি ব্যবসায়ী সামির হালিলা-কে গাজার শাসক হিসেবে বসানোর প্রচেষ্টা চলছে। তার মতে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে গাজার প্রতিরোধ আন্দোলন ও ফিলিস্তিনি জনগণের বাস্তব চাহিদাকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করার শামিল।
এই আরব বিশ্লেষক জোর দিয়ে বলেন, গাজার ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ, যারা মাসের পর মাস ইসরায়েলি অবরোধ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তারা এমন কারও শাসনযোগ্য নন যার কেবল বাণিজ্যিক স্বার্থ আছে কিন্তু প্রতিরোধ বা প্রশাসনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
আত্মসমর্পণকারী আরব সরকারগুলোর নীতির সমালোচনা করে আবদুল বারি আতওয়ান বলেছেন, তারা শুধু দর্শক হিসেবেই রয়েছে, গাজায় শিশুদের জন্য প্রাথমিক সাহায্যও পাঠায়নি।
আতওয়ান উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত নিয়ে নেতানিয়াহুর গাজা পুনর্দখলের পরিকল্পনাও গুরুতর সন্দেহের মুখে। তার মতে, ইসরায়েলি সামরিক কমান্ডাররা সম্ভাব্য হামলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে সচেতন এবং ২০০৫ সালের পশ্চাদপসরণের অভিজ্ঞতা তাদের মনে আছে।
দৈনিক রাই আল-ইয়াউম-এর প্রধান সম্পাদক আরও জোর দিয়েছেন, প্রতিরোধ আন্দোলনের এমন আলোচনায় জড়ানো উচিত নয় যা আরব মধ্যস্থতাকারী ও নেতানিয়াহুর স্বার্থে শেষ হয়। তিনি ফিলিস্তিনি নেতাদের তাদের শর্তাবলীতে অটল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, যার মধ্যে যুদ্ধবিরতি, দখলদার বাহিনীর অপসারণ এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন অন্তর্ভুক্ত।
আতওয়ান বলেন, প্রতিরোধ শক্তি এখনও শক্তিশালী এবং আমেরিকা ও ইসরাইলের তাদের নিরস্ত্র করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
রাই আল-ইয়াউম-এর প্রধান সম্পাদক সতর্ক করেছেন, প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো যেন প্রতারণা ও অনর্থক আলোচনার ফাঁদে না পড়ে, কারণ এই ধারা অব্যাহত থাকলে সংকট ও যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হবে।
আরব বিশ্বের এই বিশ্লেষক জোর দিয়ে বলেছেন, প্রতিরোধ আন্দোলন তাদের অস্ত্র ছাড়বে না এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন না পর্যন্ত তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।#
পার্সটুডে/এমএআর/১২