স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করার শর্তে
ইসরাইলি-আমেরিকান পণবন্দি ও চার জনের মরদেহ হস্তান্তর করতে রাজি হামাস
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তাদের হাতে আটক একজন ইসরাইলি-আমেরিকান পণবন্দি ও অপর চার বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করতে নিজের প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা আবার শুরু হওয়ার পর এ প্রস্তুতি ঘোষণা করল হামাস।
হামাস শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা আবার শুরু করার জন্য ভ্রাতৃপ্রতীম মধ্যস্থতাকারীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন হামাসের নেতৃবৃন্দ। এর জবাবে ইহুদিবাদী সেনা ইদান আলেক্সান্ডারকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস।
আলেক্সান্ডারের মার্কিন নাগরিকত্বও রয়েছে। এছাড়া, আরো চার দ্বৈত নাগরিকের লাশ ফেরতে দিতে সম্মত হয়েছে হামাস। সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা তাহের আন-নুনু একথা নিশ্চিত করেছেন, ওই পাঁচজনই ইসরাইলি-আমেরিকান নাগরিক।
হামাস একইসঙ্গে দৃঢ়ভাবে নিজের এই সিদ্ধান্তে অটল থাকার ঘোষণা দিয়েছে যে, গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতিতে তারা তখনই সম্মত হবেন যখন তা স্থায়ীভাবে গাজার ওপর চাপিয়ে দেয়া গণহত্যামূলক যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবে।
গাজায় ৪২ দিনব্যাপী প্রথম দফা যুদ্ধবিরতির সময় ৩৩ ইসরাইলি ও পাঁচ থাই পণবন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে অন্তত ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইহুদিবাদী কারাগারগুলো থেকে মুক্ত করেছে। প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও দ্বিতীয় মেয়াদের আলোচনা এখনও শক্তপোক্তভাবে শুরু হয়নি।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন, গাজা থেকে সকল পণবন্দিকে মুক্ত করার পর তিনি আবার গাজায় গণহত্যা শুরু করবেন এবং হামাসকে ধ্বংস না করে থামবেন না। কিন্তু হামাস সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে সম্মত না হলে নিজের আর একজন পণবন্দিকেও ফেরত পাবে না ইসরাইল।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।