'শেখ হাসিনা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদী. সমস্ত অপরাধের নিউক্লিয়াস'
https://parstoday.ir/bn/news/event-i150896
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘মিথ্যার ওপর পিএইচডি করতে হলে শেখ হাসিনার কাছে শিখতে হবে। পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের যদি কোনো সমিতি করা হয়, শেখ হাসিনা হবেন তার সভাপতি।’
(last modified 2025-08-03T12:57:09+00:00 )
আগস্ট ০৩, ২০২৫ ১৮:২২ Asia/Dhaka
  • শেখ হাসিনা
    শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘মিথ্যার ওপর পিএইচডি করতে হলে শেখ হাসিনার কাছে শিখতে হবে। পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের যদি কোনো সমিতি করা হয়, শেখ হাসিনা হবেন তার সভাপতি।’

আজ (রোববার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনারসহ অপরাধীদের সাক্ষী দেওয়ার আগে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে স্বৈরাচার ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা চাই।’

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল পৃথিবীর কোন দেশের স্বৈরাচারের কী পরিণতি হয়েছে, তা আদালতের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই, দেশের মানুষের স্বপ্নের বিচার চাই। ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়েই আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। শুধু রাষ্ট্রপক্ষ নয়, সবাই ন্যায়বিচার পাবেন।’

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিগত আমলে গুম-খুনের পলিটিক্যাল কালচার সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এমন একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যেখানে খুনের রাজনীতি বন্ধ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে গুম-খুন, চাঁদাবাজি, টাকা পাচার করা হয়েছে। আর এর বিরুদ্ধেই ছিল বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলন।’ 

এ সময় চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই বিচার অতীতের হিসাব চুকানোর চেষ্টা নয়, এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দৃপ্ত পদক্ষেপ। কোনো ব্যক্তি যতই ক্ষমতাধর হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

তিনি বলেন, 'আসামির অনুপস্থিতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাধা হবে না। আসামির ইচ্ছাকৃত পলায়ন এবং বিদেশি রাষ্ট্রের নির্লিপ্ততা ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বাধা হবে না।’

সূচনা বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার ক্ষমতা ধরে রাখা। তিনি ছিলেন এই সমস্ত অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু বা নিউক্লিয়াস। অন্যান্য আসামিরা তার অধীনে থেকে বুঝতেন যে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার ওপরই তাদের নিরাপত্তা ও পুরস্কার নির্ভর করছে।

তাজুল ইসলাম জানান, আজকের মামলাটির গত বছরের ১৬ আগস্ট তদন্ত শুরু হয়। ১২ মে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়। ১ জুন অপরাধ আমলে গ্রহণ করা হয়। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয় ১০ জুলাই। আজকে মামলাটি সূচনা বক্তব্যের জন্য রয়েছে। সেটি উপস্থাপন করছি।

আদালতে উপস্থিত রয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বিশেষ পরামর্শক লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যান।  

এছাড়া পলাতকদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। রোববার (৩ আগস্ট) বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শুরু হয়।

আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষ্য দিয়েছেন যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে মুখের আকৃতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া খোকন চন্দ্র বর্মন। এরপর তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর আগে গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসাবে যে আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।# 

পার্সটুডে/এমএআর/৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।