ইরানের বিরুদ্ধে নতুন আগ্রাসনে ‘বিধ্বংসী’ জবাব দেবে আইআরজিসি
-
আইআরজিসি\\\'র সামরিক মহড়ার ফাইল ছবি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো ভুল পদক্ষেপ বা নতুন আগ্রাসনের ‘বিধ্বংসী’ জবাব দেওয়া হবে।
ইরানের উপর ইরাক-চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বার্ষিকী স্মরণে পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহের শুরুতে আজ (রোববার) এক বিবৃতিতে আইআরজিসি জানিয়েছে, “শত্রুর যেকোনো নতুন ভুল হিসাব বা আগ্রাসনের ক্ষেত্রে ইসলামি প্রজাতন্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে কর্তৃত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে উদ্যোগ নেবে এবং আরেকটি মারাত্মক জবাব দেবে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরাকের চাপিয়ে দেওয়া আট বছরের যুদ্ধের ৪৫তম বার্ষিকীটি এবার ইরানের ওপর সাম্প্রতিক অবৈধ ইসরায়েল-আমেরিকার আগ্রাসনের অল্প কিছুদিন পরেই এসেছে। এ ঘটনায় জাতীয় ঐক্য আরও মজবুত হয়েছে এবং আগ্রাসী শক্তিগুলোর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে।
আইআরজিসি'র বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “শত্রুরা চাপিয়ে দেওয়া দুটি যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে। নিরাপত্তা, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মানসিক ও গণমাধ্যমভিত্তিক নানা ষড়যন্ত্র—যেগুলোর মাধ্যমে তারা বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল—সবগুলোতেই ব্যর্থ হয়েছে। ইরানি জাতি প্রজ্ঞা, দূরদৃষ্টি ও পবিত্র ঐক্যের মাধ্যমে শত্রুর হাইব্রিড যুদ্ধের বিরুদ্ধে লৌহ দুর্গের মতো দাঁড়িয়ে তাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে।”
বিবৃতিতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আইআরজিসি বলেছে, ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের পাশাপাশি তারা লড়াইয়ের সক্ষমতা, আক্রমণ ও প্রতিরক্ষার শক্তি এবং কৌশলগত সামর্থ্য আরও উন্নত করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "ইরাক-চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক ইসরাইল-মার্কিন আগ্রাসন উভয় ক্ষেত্রেই দেখায় যে, কার্যকর প্রতিরোধ আসে স্থায়ী প্রস্তুতি, কৌশলগত উদ্ভাবন, যুদ্ধক্ষেত্রের কার্যকর পরিকল্পনা এবং প্রতিরক্ষা ও সামরিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থার ধারাবাহিক উন্নয়ন থেকে।”
চলতি বছরের ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও অযৌক্তিক আগ্রাসন চালায়, যা ১২ দিনের যুদ্ধে রূপ নেয়। এতে অন্তত ১,০৬৪ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইরানের তিনটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়।
এর জবাবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী দখলকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েলের কৌশলগত স্থাপনা এবং কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়, যা পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। ২৪ জুন ইরান সফল পাল্টা অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আঘাত হেনে চলমান সন্ত্রাসী আগ্রাসন কার্যত থামিয়ে দেয়।#
পার্সটুডে/এমএআর/২১