গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলা নৌবহরের সবশেষ জাহাজও দখল করল ইসরায়েল
https://parstoday.ir/bn/news/event-i152600-গাজা_অভিমুখী_ফ্লোটিলা_নৌবহরের_সবশেষ_জাহাজও_দখল_করল_ইসরায়েল
ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের সবশেষ জাহাজটিও দখল করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকার প্রায় ৪২.৫ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে ম্যারিনেট নামের জাহাজটির দখল নেয় ইসরায়েলি সৈন্যরা।  
(last modified 2025-10-18T14:57:34+00:00 )
অক্টোবর ০৩, ২০২৫ ১৫:১৫ Asia/Dhaka
  • স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  ম্যারিনেট নামের জাহাজটি দখল নেয় ইসরায়েলি নৌবাহিনী।
    স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ম্যারিনেট নামের জাহাজটি দখল নেয় ইসরায়েলি নৌবাহিনী।

ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের সবশেষ জাহাজটিও দখল করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকার প্রায় ৪২.৫ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে ম্যারিনেট নামের জাহাজটির দখল নেয় ইসরায়েলি সৈন্যরা।  

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা'র লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দেখা গেছে, শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যরা জোর করে জাহাজটিতে উঠে পড়েন। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ম্যারিনেট জাহাজটিতে ছয়জন ক্রু আছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে ম্যারিনেট বাদে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের অন্য সব জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েল। তবে, সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ম্যারিনেট জাহাজটি গাজামুখী যাত্রা অব্যাহত রাখে। আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেটিরও দখল নেয় ইসরায়েলি নৌবাহিনী।

গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র নৌযান আটকানোর ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে। ইউরোপ থেকে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত দেশে দেশে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে ইসরায়েলের পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলেন। বিভিন্ন সরকার নিরস্ত্র কর্মীদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

তুরস্ক আন্তর্জাতিক পানিসীমায় শান্তিপূর্ণ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই আটককে একটি বিপজ্জনক হামলা হিসেবে নিন্দা করেছে এবং গাজায় গণহত্যার জন্য দায়ী বলে বর্ণনা করা ইসরায়েলের নীতির নিন্দা জানিয়েছে।

ফ্লোটিলার সাথে সংহতি প্রকাশে ইতালিতে ইতোমধ্যেই একটি সাধারণ ধর্মঘটের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। ব্রাসেলস, এথেন্স, বুয়েনস আয়ার্স এবং বার্লিনেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, স্পেনের সরকার জাহাজে আরোহীদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানায়।

রোমে, শত শত মানুষ "চলো সবকিছু অবরোধ করি" স্লোগান দিতে দিতে প্রধান রেলস্টেশনের কাছে জড়ো হয়, যার ফলে কর্তৃপক্ষের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে এবং কিছু মেট্রো স্টেশন বন্ধ করতে হয়। মিলান, তুরিন এবং জেনোয়াতেও ফিলিস্তিনের সমর্থনে মিছিল হয়। নেপলস ও পিসায় বিক্ষোভকারীরা অস্থায়ীভাবে প্ল্যাটফর্ম দখল করে এবং ট্রেন বন্ধ করে দেয়।

ফ্লোটিলা বহরে হামলার ঘটনাকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর 'একটি নতুন আন্তর্জাতিক অপরাধ' হিসেবে অভিহিত করে সব ইসরাইলি কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। তিনি ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক দুই কলম্বিয় নারীকে মুক্তি দিতেও দাবি জানান, যারা ফ্লোটিলার সংহতি মিশনে কাজ করছিলেন।

ব্রাজিল গাজায় প্রবেশকারী মানবিক সহায়তার উপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে এবং শর্ত ছাড়াই তুলে নেওয়ার জন্য ইসরাইলের কাছে আহ্বান জানায়। এছাড়া, ইরান, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বহু দেশ ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।#

পার্সটুডে/এমএআর/৩