গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা 'উপনিবেশিক যুগের মতো': রাশিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/event-i154198-গাজা_নিয়ে_ট্রাম্পের_পরিকল্পনা_'উপনিবেশিক_যুগের_মতো'_রাশিয়া
গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনার নামে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের মার্কিন প্রস্তাবিত একটি পরিকল্পনাকে 'উপনিবেশিক যুগের চিন্তাভাবনার প্রতিফলন' বলে অভিহিত করেছে রাশিয়া।
(last modified 2025-11-19T10:35:34+00:00 )
নভেম্বর ১৮, ২০২৫ ২০:৪৬ Asia/Dhaka
  • রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া (মাঝে)
    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া (মাঝে)

গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনার নামে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের মার্কিন প্রস্তাবিত একটি পরিকল্পনাকে 'উপনিবেশিক যুগের চিন্তাভাবনার প্রতিফলন' বলে অভিহিত করেছে রাশিয়া।

গতকাল (সোমবার) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় এই আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের একটি রেজ্যুলেশন পাস করেছে। রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত থাকে।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে ১৩টি ভোট পড়ে। কোন দেশ বিপক্ষে না থাকায় প্রস্তাবটি সহজেই পাস হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের ওপর রাশিয়া কেন ভোটদানে বিরত ছিল—সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশ্ব সংস্থায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া। তিনি বলেন, মস্কো এই প্রস্তাবে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ এতে স্বচ্ছতার অভাব ছিল এবং ফিলিস্তিনিদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে।

নেবেনজিয়া আরও বলেছেন, "এই দলিল বা নথিটি যেন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘অজুহাত’ না হয়ে ওঠে। ইসরায়েল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে তারা যে অবাধে বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে, এই দলিলটি যেন তার জন্য ঢাল না হয়ে দাঁড়ায়।"

তিনি সতর্ক করেন, আন্তর্জাতিক বাহিনীটি 'যতটা না শান্তিরক্ষা বাহিনী হিসেবে, তার চেয়ে বেশি একটি যুদ্ধপ্রবণ দল হয়ে উঠতে পারে'।

নেবেনজিয়া আরও বলেন, "এই পরিকল্পনা উপনিবেশিক যুগের চিন্তাভাবনার মতো...যেমনটি ছিল যখন ফিলিস্তিনিদের মতামত গুরুত্বের সাথে নেওয়া হতো না।"

নেবেনজিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী (আইএসএফ) কীভাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সঙ্গে কাজ করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী, এই বাহিনী ‘রামাল্লার অবস্থান বা মতামতকে কোনো রকম তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিতভাবে কাজ করবে বলে মনে হচ্ছে।’

এই নতুন বাহিনীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, কাতার এবং মিসর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, পুনর্নির্মাণ এবং নিরাপত্তার অজুহাতে কাজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রাম্প এই ভোটটিকে 'ঐতিহাসিক গুরুত্বের একটি মুহূর্ত' হিসেবে উদযাপন করেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে বলেছেন, "বোর্ডের সদস্যরা এবং আরও অনেক উত্তেজনাপূর্ণ ঘোষণা সামনে আসবে।"

ভোটের পর, হামাস এই পরিকল্পনাকে একটি চাপিয়ে দেওয়া "আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব ব্যবস্থা" হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কখনোই অস্ত্র ত্যাগ করবে না বলে জানিয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোও সতর্ক করেছে যে, ট্রাম্পের প্রস্তাব ফিলিস্তিনির স্বাধীনতার অধিকার, যুদ্ধাপরাধের দায়বদ্ধতা  এবং ক্ষতিপূরণের মতো মৌলিক বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করছে।#

পার্সটুডে/এমএআর/১৮