ট্রাম্প-সমর্থিত শহরগুলোতে বিনামূল্যে খাবারের লাইন দীর্ঘতর হয়েছে: রয়টার্স
https://parstoday.ir/bn/news/event-i155340-ট্রাম্প_সমর্থিত_শহরগুলোতে_বিনামূল্যে_খাবারের_লাইন_দীর্ঘতর_হয়েছে_রয়টার্স
পার্সটুডে-রয়টার্স এক প্রতিবেদনে লিখেছে: মিশিগানে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যের উচ্চ দাম এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু প্রধান সমর্থকের জীবনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
(last modified 2025-12-21T14:04:21+00:00 )
ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ ১৯:৫৬ Asia/Dhaka
  • ট্রাম্প-সমর্থিত শহরগুলোতে বিনামূল্যে খাবারের লাইন দীর্ঘতর হয়েছে
    ট্রাম্প-সমর্থিত শহরগুলোতে বিনামূল্যে খাবারের লাইন দীর্ঘতর হয়েছে

পার্সটুডে-রয়টার্স এক প্রতিবেদনে লিখেছে: মিশিগানে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যের উচ্চ দাম এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু প্রধান সমর্থকের জীবনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

এই পরিস্থিতি এই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী সমীকরণ পরিবর্তন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মিশিগানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু সমর্থকের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরীক্ষা করে রয়টার্স ওই নিবন্ধে লিখেছে: মুদ্রাস্ফীতি, জীবনযাত্রার চাপ এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ট্রাম্পের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ভোটারদের আনুগত্য পরীক্ষা করছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যা তার ভোটদানের মূল স্তম্ভ।

রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, যদি অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে রাজনৈতিক পরিণতি একটি ছোট শহর ছাড়িয়ে রাজ্য থেকে জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচনী ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনটি সেন্ট ক্লেয়ার কাউন্টির ক্যাপাক শহরে শুরু হয়; যেখানে লেটুস এবং আপেলের মতো মৌলিক পণ্য দাম এখন অনেক বেশি। তার পাশাপাশি এসব পণ্য পেতে গাড়ি নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে অপেক্ষা করতে হয়।

বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র

প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে মিশিগানের গ্রামীণ অঞ্চলের সহযোগিতায় জিতেছিলেন এবং তিনি জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন; কিন্তু এখন মুদ্রাস্ফীতির স্থায়িত্ব ভোটারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। এই পরিস্থিতি রিপাবলিকানদের জন্য একটি নির্বাচনী হুমকি এবং ডেমোক্র্যাটদের জন্য একটি সম্ভাব্য সুযোগ।

রয়টার্সের মতে, ফল এবং সবজির দাম ৯.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয়ভাবে, মাংস, কফি এবং কমলার রসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও, ভারী প্রযুক্তি বিনিয়োগের চাপের ফলে বিদ্যুতের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

রয়টার্স সেন্ট ক্লেয়ার কাউন্টিতে ট্রাম্প-সমর্থিত ১৯ জন ভোটারের সাক্ষাৎকার নিয়েছে, যেখানে ট্রাম্প ৬৬.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাদের অর্ধেক বলেছেন যে তারা মৌলিক জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে লড়াই করছেন; তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত, একজন নৌবাহিনীর প্রাক্তন সৈনিক এবং স্থির আয়ের মানুষ রয়েছেন। একজন অবসরপ্রাপ্ত অটো শিল্প কর্মী বলেছেন যে তিনি তার পরিবারের জন্য একটি খাদ্য ব্যাংক থেকে সাহায্য পান। তিনি গুরুত্বের সাথে বলেন অর্থনীতির উন্নতি না হলে তিনি তার ভোট পরিবর্তন করতে পারেন।

বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্র

রয়টার্স অর্থনীতিবিদদের বক্তব্যও তুলে ধরেছে। অর্থনীতিবিদদের বিশ্বাস প্রেসিডেন্টরা দ্রুত দাম নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম। তারা সতর্ক করে দিয়েছে যে ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্ক আমদানির খরচ বাড়িয়ে দেবে এবং তার বোঝা ভোক্তাদের ওপরই চাপবে। প্রতিবেদনে ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী পদ্ধতির দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে, উল্লেখ করা হয়েছে যে তারা নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিকে একটি কেন্দ্রীয় বিষয় করার পরিকল্পনা করছে।

রয়টার্স সাম্প্রতিক জরিপের কথা উল্লেখ করে উপসংহারে লিখেছে: জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে, মাত্র ২৭ শতাংশ ভোটার তার ব্যয় পরিচালনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।#

পার্সটুডে/এনএম/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন