মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার সরানো না হলে ‘হনুমান চালিসা’চলবে: হুঁশিয়ারি রাজ ঠাকরের
https://parstoday.ir/bn/news/india-i107502-মসজিদ_থেকে_লাউডস্পিকার_সরানো_না_হলে_হনুমান_চালিসা’চলবে_হুঁশিয়ারি_রাজ_ঠাকরের
ভারতের মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। কড়া পুলিশি ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কিছু এলাকায় মসজিদের সামনে লাউডস্পিকার লাগিয়ে হনুমান চালিসা পাঠ করা হয়েছে। আজ মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা (এমএনএস) প্রধান মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার খোলা না হলে ‘হনুমান চালিসা’চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
মে ০৪, ২০২২ ১৮:১০ Asia/Dhaka
  • মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার সরানো না হলে ‘হনুমান চালিসা’চলবে: হুঁশিয়ারি রাজ ঠাকরের

ভারতের মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। কড়া পুলিশি ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কিছু এলাকায় মসজিদের সামনে লাউডস্পিকার লাগিয়ে হনুমান চালিসা পাঠ করা হয়েছে। আজ মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা (এমএনএস) প্রধান মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার খোলা না হলে ‘হনুমান চালিসা’চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আজ (বুধবার) এনডিটিভি হিন্দি ওয়েবসাইট সূত্রে প্রকাশ, মুম্বাইয়ের কান্দিভালির চরকোপে, মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা’র (এমএনএস) কর্মীরা ঠিক আযানের সময়ে তাদের ভবনে লাউডস্পিকারে ‘হনুমান চালিসা’পাঠ করেছে।

একইসঙ্গে, এই বিতর্কের মধ্যেই, পুলিশ ‘এমএনএস’প্রধান রাজ ঠাকরেকে সিআরপিসি ১৪৯-এর অধীনে নোটিশ জারি করেছে। কগনিজেবল অপরাধ বন্ধ করতে  সিআরপিসি ১৪৯-এর অধীনে নোটিশ জারি করা হয়। এটি হল সেই সব অপরাধ যেখানে পুলিশ কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে।   

ওই বিষয়ে আজ রাজ ঠাকরে বলেন, সকাল থেকেই মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন পাচ্ছি। মহারাষ্ট্রের বাইরে থেকেও ফোন আসছে। পুলিশের ফোন আসছে। এ পর্যন্ত অনেক জায়গায় পুলিশ আমার কর্মী-নেতাদের নোটিশ দিচ্ছে। ধরপাকড় করছে। কেন শুধু আমাদের ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে? যারা আইন মানছে তাদের কেন শাস্তি হচ্ছে?  রাজ ঠাকরে আরও বলেন, আমি পুনরায় বলতে চাই যে প্রায় ৯০ শতাংশ মসজিদ থেকে সকালে লাউডস্পিকারে আযান হয়নি। আমি সেই আলেমদের কাছে কৃতজ্ঞ। গতকাল আমি বিশ্বাস নাংরে পাটিলের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলাম যে বেশিরভাগ মসজিদের ট্রাস্টিরা একমত হয়েছেন। এরপর ১৩২টি মসজিদে লাউডস্পিকার থেকে আযান দেওয়া হয়েছে। আমার প্রশ্ন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে?    

তিনি আরও বলেন, আমি শুধু এ জন্যই বলছি যে এটা শুধু সকালের আযানের প্রশ্ন নয়। দিনের বেলায়ও যদি লাউডস্পিকারে আযান হয়, তাহলে আমাদের লোকজন সেখানে গিয়ে লাউডস্পিকার থেকে হনুমান চালিসা পাঠ করবে। আমার প্রশ্ন হল পুলিশ ৩৬৫ দিনের জন্য একসাথে কীভাবে অনুমতি দিতে পারে? আমাদের প্রতিদিন অনুমতি নিতে হয়। আমার প্রশ্ন হল পুলিশের কাছে কী একটাই কাজ, ডেসিবেল পরিমাপ করা? সেজন্য এর একটাই সমাধান, লাউডস্পিকার খুলে ফেলা। যদি বেশি ডেসিবেলে আযান হয় তাহলে হনুমান চালিসা পাঠ করা হবে। এটা কোন ধর্মীয় বিষয় নয়, এটা সামাজিক সমস্যা। আমাদের লোকজনকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে?  

রাজ ঠাকরে আরও বলেন, আমি আবারও বলছি এই বিষয়টি একদিনের জন্য নয়। যে মসজিদে লাউডস্পিকারে আযান হবে সেখানে ‘হনুমান চালিসা’ পাঠ করা হবে। কখনো কখনো উৎসবের সময় প্রয়োজন হয়, কিন্তু ৩৬৫ দিন কেন? এটি একদিনের বিষয় নয়। লাউডস্পিকার না নামানো পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। ১৩৫টি মসজিদে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আযান দেওয়া হয়। আমি জানতে চাই তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?    

গত ১ মে রাজ ঠাকরে এক জনসভা থেকে রাজ্য সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন যে, ৪ মে’র মধ্যে যদি মসজিদগুলো থেকে লাউডস্পিকার সরানো না হয়, তা হলে মসজিদগুলোর সামনে ‘হনুমান চালিসা’ পাঠ করা হবে।  

পাসটুডে/ এমএএইচ/ বাবুল আখতার /৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।