আল-আকসাসহ পশ্চিম তীরের মসজিদগুলোতে ইহুদিদের হামলার ব্যাপক নিন্দা
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i154092-আল_আকসাসহ_পশ্চিম_তীরের_মসজিদগুলোতে_ইহুদিদের_হামলার_ব্যাপক_নিন্দা
পার্সটুডে- কাতার, সৌদি আরব এবং মিশরের আল-আজহার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের হামলা এবং পশ্চিম তীরের হাজ্জাহ হামিদাহ মসজিদে আগুন দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
নভেম্বর ১৬, ২০২৫ ১৬:৪৪ Asia/Dhaka
  • • আল-আকসা মসজিদে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা
    • আল-আকসা মসজিদে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা

পার্সটুডে- কাতার, সৌদি আরব এবং মিশরের আল-আজহার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের হামলা এবং পশ্চিম তীরের হাজ্জাহ হামিদাহ মসজিদে আগুন দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে মুসলিমানদের পবিত্র ধর্মীয় স্থানটিতে ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের হামলা আন্তর্জাতিক আইন এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আল-আকসা মসজিদের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় মর্যাদা পরিবর্তনের যেকোনো প্রচেষ্টা কেবল ফিলিস্তিনিদের উপরই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মুসলমানের উপরও আঘাত। পার্সটুডে জানিয়েছে, কাতার আবারও ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষা এবং এই ভূমির জনগণের স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা করার এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে।

সৌদি আরবও আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের হামলা এবং পশ্চিম তীরে হাজ্জাহ হামিদা মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ঘোষণা করেছে যে দখলদার এবং চরমপন্থী ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ক্রমাগত লঙ্ঘিত হচ্ছে। সৌদি আরব সতর্ক করে দিয়েছে যে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ছাড়া এই ধরণের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে এবং সংঘাত অব্যাহত থাকবে।

মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ও পশ্চিম তীরে ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে "সন্ত্রাসী, চরমপন্থী এবং ঘৃণ্য অপরাধ" বলে বর্ণনা করেছে এবং এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরের দেইর এজ-জোর শহরের একটি মসজিদের কিছু অংশে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং দেয়ালে হিব্রু ভাষায় বর্ণবাদী স্লোগান লিখে রাখে

মসজিদ পোড়ানো ইহুদিবাদীদের দ্বারা মসজিদ এবং ইসলামিক পবিত্র স্থানগুলিকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিক হামলার অংশ। ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলি মসজিদ পোড়ানো, পবিত্র কুরআনের প্রতি অবমাননা এবং ফিলিস্তিনিদের বহিষ্কার বা গণহত্যার দাবিতে স্লোগান লেখা সহ কয়েক ডজন ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।

সেন্টার ফর কাউন্টারিং দ্য ব্যারিয়ার অ্যান্ড সেটেলমেন্টস কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গাজার বিরুদ্ধে দুই বছরের গণহত্যা যুদ্ধের সময়, ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরে ৭,১৫৪টি আক্রমণ চালিয়েছে, যার ফলে ৩৩ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হন এবং ৩৩টি আবাসিক এলাকা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

একই সময়ে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং বসতি স্থাপনকারীদের যৌথ আক্রমণের ফলে কমপক্ষে ১,০৭২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হন, প্রায় ১০,৭০০ জন আহত হন এবং ২০,৫০০ জনেরও বেশি গ্রেপ্তার হন।

গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে এই অঞ্চলের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর গণহত্যা যুদ্ধের অবসান ঘটে, যা ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে শুরু হয়েছিল; ইসরায়েলি হামলায় ৬৯,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১,৭০,০০০ এরও বেশি আহত হন, যাদের বেশিরভাগই শিশু এবং মহিলা। জাতিসংঘ এই আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ পুনর্নির্মাণের ব্যয় প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার অনুমান করেছে। #

পার্সটুডে/এমআরএইচ/১৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।