অসমে নির্বাচনী এলাকা পুনর্বিন্যাসের চেষ্টা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটি অংশ : ‘আমসু’
ভারতে বিজেপিশাসিত অসমে নির্বাচনী এলাকা পুনর্বিন্যাসের প্রচেষ্টাকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটি অংশ বলে মন্তব্য করেছে অল অসম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বা ‘আমসু’।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে ওই ইস্যুতে ঈদের পরে জোরালো আন্দোলনের ঘোষণা করা হয়েছে। ‘আমসু’র সভাপতি রেজাউল করিম সরকারের অভিযোগ- নির্বাচন কমিশনকে হাতের পুতুল হিসেবে ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। সাম্প্রদায়িক, বর্ণবাদ ও ধর্মীয় বিভাজনে খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে। সেজন্য এই খসড়া কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়।
সম্প্রতি ‘আমসু’র সভাপতি রেজাউল করিম সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করতে কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসের খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে। আসলে মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের ভালো চান না। উনি মুখে যা বলেন, তার ঠিক উল্টোটাই করেন। শুরু থেকেই মুসলিমদের টার্গেট করে নিয়েছেন তিনি। সামাজিক, শৈক্ষিক, আর্থিক ও ধর্মীয়ভাবে মুসলমানদের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ হল নির্বাচনী কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসের খসড়া। আমরা যার বিরোধিতা করছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব।’
‘আমসু’ সভাপতি আরও বলেন, নির্বাচনী এলাকা পুনর্বিন্যাসের খসড়ার বিরুদ্ধে ৫ লাখ সংখ্যালঘু নির্বাচন কমিশনের কাছে আপত্তি জানাবেন। ঈদের পরে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভার আয়জন করা হবে। গুয়াহাটিতেও হবে বড়সড় প্রতিবাদ। একইসঙ্গে জাতীয় পর্যায়েও প্রতিবাদ হবে। যেদিন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা রাজ্যে আসবেন, সেদিন ঘরে ঘরে সংখ্যালঘু জনগণ কালো ব্যাজ পরিধান করবেন। সড়কে নেমে গণতান্ত্রিকভাবে ভয়াবহ আন্দোলন করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, ‘আমসু’ সভাপতি রেজাউল করিম সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন ভারতের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত খসড়া প্রকাশ করা হয়। এর ওপর সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন দল, সংগঠনের মতামত নেওয়া হবে। কমিশনকে প্রস্তাব বা আপত্তি পাঠানোর জন্য ১১ জুলাই পর্যন্ত সময় রাখা হয়েছে। জুলাইয়ের শেষের দিকে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল রাজ্য সফর করবে। তখন খসড়া প্রস্তাবের ওপর দেওয়া বিভিন্ন দাবি-আপত্তির পর্যালোচনা করবে কমিশন। রাজ্য গণশুনানির আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। সেসবের ভিত্তিতে পরে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।