যেতে পারছেন না নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র ভাঙড়ে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকি
https://parstoday.ir/bn/news/india-i125692-যেতে_পারছেন_না_নিজের_নির্বাচনী_ক্ষেত্র_ভাঙড়ে_হাইকোর্টের_দ্বারস্থ_নওশাদ_সিদ্দিকি
পশ্চিমবঙ্গের ‘আইএসএফ’ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি একাধিকবার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র ভাঙড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তিনি সেখানে যেতে না পারায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
জুলাই ১৮, ২০২৩ ১৭:২০ Asia/Dhaka
  • ‘আইএসএফ’ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি
    ‘আইএসএফ’ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি

পশ্চিমবঙ্গের ‘আইএসএফ’ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি একাধিকবার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র ভাঙড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তিনি সেখানে যেতে না পারায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

আজ (সোমবার) তার আইনজীবী ওই বিষয়ে কোলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্রশ্ন, ‘কেন বার বার পুলিশ বাধা দিচ্ছে? ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা বলা হচ্ছে শুধু।’ মামলা দায়ের  করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। চলতি সপ্তাহেই আদালতে শুনানি হতে পারে।

সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে বার বার সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গত (মঙ্গলবার) ভোট গণনার দিনও  প্রাণহানি হয়েছে সেখানে। কাঁঠালিয়ায় গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছিলেন তিন জন।  এদের মধ্যে দু’জন ছিলেন আইএসএফ কর্মী। এক জন  গ্রামবাসী বলে দাবি। এ সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।     

জনপ্রতিনিধি হিসেবে গত (শুক্রবার) ভাঙড়ে যাওয়ার সময়  বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে নিউটাউন এলাকায় পুলিশ আটকে দেয়। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতেই বসেছিলেন তিনি।  এ সময়ে পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তার কথা তীব্র কাটাকাটিও হয়। পরবর্তীতে তিনি ফিরে যেতে বাধ্য হন। গত (রোববার) ফের  ভাঙড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিধায়ক নওশাদ। কিন্তু আবারও পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তিনি। অবশেষে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।  

এ প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা দিলীপ ঘোষ এমপি আজ বলেন, ‘নওশাদ সিদ্দিকি ওখানে জিতেছেন। সাধারণ মানুষ তাকে জিতিয়েছেন। তাকে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না, লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। একটা বাচ্চা ছেলে তৃণমূল সরকারের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে উনি চাচ্ছেন আদালতে যেতে।’  

বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেছেন, ‘১৪৪ ধারা মানে কী? বেআইনি জমায়েত করা যাবে না। একসাথে ৪/৫ জনের বেশি যেতে পারবে না। কিন্তু সেখানকার একজন এসপি তিনি একটা লিস্ট দিচ্ছেন, বলছেন, এই লিস্টে যাদের নাম আছে তারা যেতে পারবে। মানে তারা আইনের ঊর্ধ্বে! ১৪৪ ধারা তাদের জন্য নয়! আর নওশাদ যে একা একা হেঁটে হেঁটে যাবে, এতে কোন  আইনে বাধা থাকতে পারে?’ 

অন্যদিকে, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, এটা প্রশাসনিক বিষয়। কে গেলে প্ররোচনা দেবে, পুলিশ যদি মনে করে নিশ্চয়ই তাদের সেইমত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার আছে। ‘আইএসএফ’ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে বিজেপির এজেন্ট বলেও কটাক্ষ করেছেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।        

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।