হরিয়ানায় নূহতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল রোহিঙ্গা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ঝুপড়ি
ভারতে বিজেপিশাসিত হরিয়ানার নূহতে সাম্প্রতিক সহিংসতার জেরে পুলিশ নূহতে রোহিঙ্গা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ঝুপড়ি বুলডোজারের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
আজ (শুক্রবার) পুলিশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের বসতি গুঁড়িয়ে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এরা নূহের সাম্প্রতিক সহিংসতায় জড়িত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে হরিয়ানা নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জমি দখল করে বাস করছিল। প্রাথমিক তদন্তে সহিংসতায় তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি পুলিশের। এমতাবস্থায় পুলিশ অবৈধভাবে দখলীকৃত জায়গায় গড়ে ওঠা বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় বিপুল সংখ্যক আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অভিযানের সময় বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, কিছু নারী এর বিরোধিতা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারী পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। পুলিশ কর্মকর্তা নরেন্দ্র বিজারনিয়া বলেছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে, সন্দেহজনক লোকেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে, জমির দখলমুক্ত করা হয়েছে। এই বেআইনিভাবে বসতি স্থাপনে অসম এবং বাংলা থেকে অনেক অনুপ্রবেশকারীর তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে চলা একটি অ্যাকশনে ২০০ টিরও বেশি বস্তি মাটিতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এলাকায় যেখানেই এ ধরনের সন্দেহজনক কলোনি অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে, সব উচ্ছেদ করা হবে।
হরিয়ানায় সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ১৭৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৭৮ জনকে প্রতিরোধমূলক হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) টিভিএসএন প্রসাদ আরও বলেন, ওই ঘটনায় মোট ৯৩টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে নূহতে ৪৬টি, গুরুগ্রামে ২৩ টি, ফরিদাবাদে ৩টি, রেওয়ারিতে ৩টি এবং পালওয়ালে ১৮টি রয়েছে।

আজ (শুক্রবার) নূহের পুলিশ কর্মকর্তা বরুণ সিংলা বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৫৫ টি এফআইআর হয়েছে এবং ১৪১ জন গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।’
গত (সোমবার) হরিয়ানার নূহতে উগ্রহিন্দুত্ববাদী বিশ্বহিন্দু পরিষদের ব্রজ মণ্ডল শোভাযাত্রায় পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময়ে উভয়পক্ষের মধ্যে পাথর নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ নেয়।
রাজ্যটিতে সহিংসতার জেরে নূহ, পালওয়াল, ফরিদাবাদ এবং গুরুগ্রামের সোহনা, মানেসার এবং পাটোদিতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইন্টারনেট এবং এসএমএস পরিসেবা স্থগিত করা হয়েছে। গোলযোগপূর্ণ এলাকায় আধাসামরিক বাহিনীর ২০টি কোম্পানি মোতায়েন করাসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ কার্যকর রয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।