১.৯০ কোটি বাংলাদেশি হিন্দুর বোঝা বহন করতে হবে ভারতকে: অখিল গগৈ
(last modified Sun, 18 Feb 2024 12:54:06 GMT )
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪ ১৮:৫৪ Asia/Dhaka
  • ১.৯০ কোটি বাংলাদেশি হিন্দুর বোঝা বহন করতে হবে ভারতকে: অখিল গগৈ

ভারতে খুব শিগগিরি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ/ক্যা কার্যকর করার তৎপরতার মধ্যে বিজেপিশাসিত অসমে বিতর্কিত ওই আইনের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে।

গতকাল (শনিবার) গুয়াহাটি মহানগরের লক্ষ্মীধর বরা ক্ষেত্রে ‘ক্যা’ বিরোধী  সমন্বয়রক্ষী কমিটির উদ্যোগে এক সমাবেশে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ‘ক্যা’ আইনের তীব্র বিরোধিতা করেন। তারা ওই আইনের বিরোধিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। সমাবেশে বিধায়ক অখিল গিরি বলেন,‘ক্যা’র বিরোধিতা করে আসছি, ভবিষ্যতেও করে যাব। দমনপীড়ন চললেও 'ক্যা' কখনই মেনে নেব না। প্রয়োজনে পদত্যাগ করে ক্যা বিরোধী আন্দোলনে আবার ঝাঁপিয়ে পড়ব।

অখিল গিরির দাবি ‘ক্যা’ রূপায়ন হলে সংকটের মুখে পড়বে অসমিয়া জাতি। ‘ক্যা’ কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ১৫/২০ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব পাবেন। বাংলাদেশে বসবাসরত ১.৯০ কোটি হিন্দু অসমে আসার সুযোগ পাবেন। সব মিলিয়ে অসমকে ১.৯০ কোটি বাংলাদেশি হিন্দুর বোঝা বহন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিধায়ক অখিল গিরি।

বিধায়ক মনোরঞ্জন তালুকদার বলেছেন, ‘ক্যা’ সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক এবং সাম্প্রদায়িক। এই আইন রূপায়ন হলে অসমে ভয়ঙ্কর বিপদ আসবে। সেজন্য কোনো অবস্থাতেই তারা ‘ক্যা’ মেনে নেবেন না।

অজিত ভুঁইয়া এমপি’র মতে, অসমিয়া জাতির জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে ‘ক্যা’। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি হীরেন গোঁহাইয়ের দাবি- ‘ক্যা’ বাস্তবায়িত হলে দেশের বৈচিত্র  ধ্বংস হয়ে যাবে। বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি হবে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ/ক্যা  তৈরি করেছে কিন্তু এতদিনেও তার বিধি তৈরি না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী খুব শিগগিরি ওই আইন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন। বিতর্কিত ওই আইনে ‘মুসলিমদের বাদ’ দিয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/জিএআর/১৮