সিএএ'র আবেদন ১০ দিনের মধ্যে খতিয়ে দেখার আশ্বাস, স্বস্তিতে আবেদনকারীরা
https://parstoday.ir/bn/news/india-i153884-সিএএ'র_আবেদন_১০_দিনের_মধ্যে_খতিয়ে_দেখার_আশ্বাস_স্বস্তিতে_আবেদনকারীরা
ভারতের কলকাতা হাইকোর্টে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দায়ের করা মামলায় খানিকটা স্বস্তিতে নাগরিকত্ব সংশোধান আইন বা সিএএ আবেদনকারীরা। তাদের সব আবেদন আগামী ১০ দিনের মধ্যে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।
(last modified 2025-11-11T14:44:42+00:00 )
নভেম্বর ১০, ২০২৫ ১৬:৩৪ Asia/Dhaka
  • সিএএ সম্পর্কিত মামলায় আবেদনকারীরা স্বস্তিতে
    সিএএ সম্পর্কিত মামলায় আবেদনকারীরা স্বস্তিতে

ভারতের কলকাতা হাইকোর্টে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দায়ের করা মামলায় খানিকটা স্বস্তিতে নাগরিকত্ব সংশোধান আইন বা সিএএ আবেদনকারীরা। তাদের সব আবেদন আগামী ১০ দিনের মধ্যে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।

হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে।

আজ (সোমবার) মামলাকারীদের আইনজীবী মৈনাক বসু আদালতে বলেন,“জনস্বার্থ মামলায় সব আবেদনকারীর কথা বলা হয়েছে। দেশ জুড়ে অন্তত ৫০ হাজার আবেদন পাঠানো হয়েছে। যে আবেদনগুলো ফেলে রাখা হয়েছে সেগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার হয় বিবেচনা করুক এসব আবেদন অথবা  বাতিল করা হোক। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

SIR-এর এনুমারেশন ফর্মে তাদের জন্য কোনও বিকল্প রাখা হয়নি। রাজ্য অবশ্য গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওপর। রাজ্যের আইনজীবী জানান, এই নিয়ে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। কমিশন যাবতীয় কাজ করছে।

কেন্দ্রের এএসজি আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যকে ৯০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন পাঠানোর কথা থাকলেও রাজ্য সেটা করেনি। রাজ্য আমাদের কাছে কিছু পাঠায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আজ আদালতে স্পষ্ট জানান, সিএএ করার কারণ হচ্ছে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এটা বিবেচনা করা হবে। যারা এই মামলার সঙ্গে যুক্ত তাদের দিকটা খতিয়ে দেখা হবে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, শুধু এই মামলার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের জন্য বিবেচনা করা হবে। তবে দেশের অন্যত্র যেখানে এই ধরনের মামলা বিচারাধীন, তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।”

এদিকে, SIR নিয়ে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নাগরিকত্বের আবেদন জানানোর নথি যেন SIR এর ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হয় সেই আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল একটি সংগঠন। ওই মামলাতে ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, নাগরিকত্বের আবেদন করার অর্থ অধিকার জন্মানো না। যারা নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের বিষয়বস্তু আলাদা। ফলে জনস্বার্থ মামলায় তার বিচার করা সম্ভব নয়। যারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তারা চাইলে আলাদা করে সমাধান খুঁজতেই পারেন বলেও জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।#

পার্সটুডে/জিএআর/১০