'ভারতে এনআরসি’র নামে বেছে বেছে মুসলিমদের টার্গেট করা হচ্ছে'
https://parstoday.ir/bn/news/india-i75315-'ভারতে_এনআরসি’র_নামে_বেছে_বেছে_মুসলিমদের_টার্গেট_করা_হচ্ছে'
ভারতের অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি’র নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেছে বেছে মুসলিমদের টার্গেট করা হচ্ছে এবং তাদের রাষ্ট্রহীন করে দিতে সরকার এনআরসি তালিকাকে হাতিয়ার করছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)।
(last modified 2025-09-26T18:07:30+00:00 )
নভেম্বর ১৭, ২০১৯ ১৭:০৮ Asia/Dhaka
  • 'ভারতে এনআরসি’র নামে বেছে বেছে মুসলিমদের টার্গেট করা হচ্ছে'

ভারতের অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি’র নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেছে বেছে মুসলিমদের টার্গেট করা হচ্ছে এবং তাদের রাষ্ট্রহীন করে দিতে সরকার এনআরসি তালিকাকে হাতিয়ার করছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)।

গত (শুক্রবার) মার্কিন ওই কমিশন ‘ইস্যু ব্রিফ: ইন্ডিয়া’ নামের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ‘বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন। তাদের মতে, অসমের বাঙালি মুসলিমদের বঞ্চিত করতে, একটা বড় অশের মুসলিমকে রাষ্ট্রহীন করতে এবং ঘুরপথে ধর্মীয় পরিচয়কেই নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে অপরিহার্য করে তোলার কার্যসিদ্ধির জন্যই এনআরসিকে হাতিয়ার করা হয়েছে।

নীতি বিশ্লেষক হ্যারিসন একিন্সের তদারিকতে প্রস্তুত হওয়া ‘ইউএসসিআইআরএফ’-এর ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার যে ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে, সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিতাড়ন করার এই প্রচেষ্টাই তার অন্যতম উদাহরণ। গত আগস্ট মাসে এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে বিজেপি সরকার এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে তাদের ‘মুসলিম বিরোধী মনোভাব’ই প্রতিফলিত হয়েছে। মুসলিমদের বাদ দিয়ে হিন্দু ও বাছাই করা কিছু সংখ্যালঘুদের সুবিধা করে দিতেই যে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরীক্ষার আয়োজন, বিজেপি’র ইঙ্গিতেই তা স্পষ্ট।’

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার একধিকবার জানিয়েছে, অসমে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই এনআরসি’র যাবতীয় কাজকর্ম হচ্ছে। কিন্তু যাদের নাম এনআরসি তালিকায় বাদ গিয়েছে তাঁদের মধ্যে মুসলিমদের বাদ রেখে অন্যদেরকে কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি’র নেতারা অভয় দিয়েছেন। এমনকি প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্শিদের জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধন (ক্যাব) করে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

অসমে গত ৩১ আগস্ট এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। এরপর থেকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বিরোধীরা এনআরসি প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।