জম্মু-কাশ্মীরে ২ গেরিলা নিহত, পুলিশের এসপিও নিখোঁজ, অস্ত্রশস্ত্র উধাও
জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২ গেরিলা নিহত হয়েছে। আজ (বুধবার) দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার চাকোরা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে দুই গেরিলার মৃত্যু হয়।
আজ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, সেনাবাহিনীর ৩৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের যৌথবাহিনী সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘিরে ফেলে সন্দেহভাজন গেরিলাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালায়। এ সময়ে লুকিয়ে থাকা গেরিলারা যৌথবাহিনীকে টার্গেট করে গুলিবর্ষণ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় শুরু হয়। ওই ঘটনায় দুই গেরিলা নিহত হয়।
এদিকে, গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের চান্দুরা ক্যাম্প থেকে রহস্যজনকভাবে আলতাফ হাসান ভাট নামে এক বিশেষ পুলিশ কর্মকর্তা (এসপিও) নিখোঁজ হয়েছেন। একইসঙ্গে দুটি একে-৪৭ রাইফেল এবং তিনটি ম্যাগাজিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী নিখোঁজ এসপিও’র সন্ধান করছে। আলতাফ হাসান ভাট গত পাঁচবছর ধরে এসপিও পদে ছিলেন। তিনি কাজিপুরা, বাডগামের বাসিন্দা।
অন্যদিকে, গত সোমবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মহানির্দেশক দিলবাগ সিং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত পাঁচ দিনে চারটি সফল অভিযানে ১০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। একইভাবে চলতি বছরে এপর্যন্ত ৭৫ টি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ১৮০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এরমধ্যে কেবল ৮ অভিযান শ্রীনগরে হয়েছে, এরফলে ১৮ সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়। এছাড়া ২৬ জন বিপথগামী যুবককে সন্ত্রাসবাদ থেকে মূলস্রোতে আনতে আমরা সফল হয়েছি।
নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহানির্দেশক বলেন, চলতি বছরে এ পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ১৯, সিআরপিএফের ২১ এবং সেনাবাহিনীর ১৫ জওয়ান নিহত হয়েছেন।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।