'এখনও মানুষ পরিবেশকে ধ্বংস করে নিজেদের বিলাসিতায় মগ্ন! '
(last modified Mon, 07 Jun 2021 09:50:48 GMT )
জুন ০৭, ২০২১ ১৫:৫০ Asia/Dhaka
  • 'এখনও মানুষ পরিবেশকে ধ্বংস করে নিজেদের বিলাসিতায় মগ্ন! '

সুপ্রিয় রেডিও তেহরান, আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ মানুষ এবং পরিবেশের বিপন্ন অবস্থা নিয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মানব সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ বিভিন্ন ভাবে কখনো খাদ্যের তাগিদে বা বাসস্থানের প্রয়োজনে প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে নিজেদের অস্তিত্বকে বজায় রেখেছে। পরবর্তীকালে সময়ের বিবর্তনে মানুষ প্রযুক্তির উন্নতি করেছে এবং এইসব প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ নির্বিচারে পরিবেশের ধ্বংস সাধন করে চলেছে। একটা সময়ে এমনকি এখনও মানুষ পরিবেশের গুরুত্ব ভুলে গিয়ে পরিবেশকে ধ্বংস করে নিজেদের বিলাসিতায় মগ্ন। কিন্তু মানুষ যখন পরিবেশের গুরুত্বটি সঠিকভাবে বুঝতে পারলেন, তখন মানুষ এবং পরিবেশ দুটোর অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আর এ বিষয়েই মানুষকে পরিবেশের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে, পরিবেশ রক্ষা করতে, পরিবেশের বিভিন্ন সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে, এক কথায় মানুষের সাথে পরিবেশের পরিপূরক সম্পর্ক তৈরি করতে বা মানুষ এবং পরিবেশের সম্পর্ককে সঠিকভাবে বোঝাতে ১৯৭৪ সালে প্রথম World Environment Day অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তার পর থেকেই ৫ জুন দিনটিকে আমরা World Environment Day হিসেবে পালন করে থাকি। এই দিনটির বিষয়বস্তুকে আমরা কতটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, এ বিষয়ে একটু বলতে চাই।

আমরা পরিবেশ দূষণের প্রতিকার বলতে গাছ লাগানোর পাশাপাশি বাড়ির আশেপাশে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারকেই বুঝে থাকি, যদিও সেটা সাধারণত ৫ জুনেই করি। গাছ লাগানো পরিবেশ দূষণ রোধে মুখ্য ভূমিকা পালন করলেও এই আধুনিক যুগে বা শিল্পোন্নয়নের যুগে গাছ লাগানোই পরিবেশ দূষণের একমাত্র প্রতিকার হতে পারে না। আমরা হয়তো সঠিকভাবে জানিই না কোন কোন উৎস থেকে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, তাই প্রথমে আমাদের সে বিষয়ে জানতে হবে। তারপরই আমাদের ভাবতে হবে যে, সেই উৎসকে আমরা কিভাবে প্রশমন করতে পারি।

আমি এই বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত উদাহরণ দিতে চাই, CARBON SINK, এটি এমন একটি পদ্ধতি যা পরিবেশের অতিরিক্ত Carbon Capture করে এবং CARBON CREDIT, এটি আরেকটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সেই অতিরিক্ত Carbon কে উন্নত দেশে বিক্রি করে। একইভাবে পরিবেশের অন্যান্য দূষণ যেমন, Water pollution, Soil pollution, Radio Active, E-Waste, Coastal pollution, Wetland pollution, Marine pollution প্রভৃতির উৎসকে রোধ করার জন্য আমাদের সঠিক Rules and Regulations মেনে চলা উচিত। পাশাপাশি এইসব দূষণের উৎসকে বিকল্প হিসেবে কোন সঠিক কাজে ব্যবহার করা যায় কিনা সে বিষয়েও ভাবা উচিত।

সবশেষে একটি কথা বলতে চাই যে, আমরা পরিবেশ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য যতোটা তৎপরতার সাথে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে থাকি, তার ৫০ শতাংশও যদি আমরা কার্যকরিভাবে তৎপরতা দেখাতে পারতাম, তাহলে আমার মনে হয়, পরিবেশ অনেকটাই স্বাভাবিক পর্যায়ে যেতো।

 

মোহাম্মদ রাসেল

জেলা: কোচবিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।