অসমে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি বন্ধে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে : হিমন্তবিশ্ব শর্মা
https://parstoday.ir/bn/news/india-i93908-অসমে_মুসলিম_জনসংখ্যা_বৃদ্ধি_বন্ধে_সমস্ত_পদক্ষেপ_গ্রহণ_করা_হবে_হিমন্তবিশ্ব_শর্মা
ভারতের বিজেপিশাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, অসমে মুসলিম জনসংখ্যা ২৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটি বন্ধে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আজ (মঙ্গলবার) গণমাধ্যমে হিমন্তবিশ্ব শর্মার ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
জুন ২৯, ২০২১ ১৭:২১ Asia/Dhaka
  • ভারতের বিজেপিশাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা
    ভারতের বিজেপিশাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা

ভারতের বিজেপিশাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, অসমে মুসলিম জনসংখ্যা ২৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটি বন্ধে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আজ (মঙ্গলবার) গণমাধ্যমে হিমন্তবিশ্ব শর্মার ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে।

‘নবভারত টাইমস’ হিন্দি ওয়েবসাইটে প্রকাশ, বিজেপি নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, দারিদ্র্যতা ও নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে সংখ্যালঘু জনসংখ্যার বৃদ্ধি কমিয়ে আনতে রাজ্য সরকার বিশেষ নীতিমালা গ্রহণ করবে। রাজ্য সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম প্রসারিত করা এবং এ জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধি বন্ধ করা।  

গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আদমশুমারিতে দেখা গেছে, অসমে হিন্দুর সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ১০ শতাংশ আর মুসলিমদের জনসংখ্যা বেড়েছে ২৯ শতাংশ হারে। রাজ্যের বিরাট সংখ্যক মানুষ যখন নিম্নবিত্ত, আর্থিক সমৃদ্ধির থেকে তারা এখনও অনেক দূরে আছেন, তখন এই হারে জনসংখ্যা বাড়লে প্রগতির পথ আটকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেজন্য জনসংখ্যা নীতি প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।’    

শ্রী শর্মা বলেন, তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে অবিচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রাখছেন এবং আগামী মাসে সম্প্রদায়ের মধ্যে এক ধরণের নেতৃত্ব তৈরি করতে বেশ কিছু সংগঠনের সাথে আলোচনা করবেন।     

হিমন্তবিশ্ব শর্মা অবশ্য ‘উপজাতি’ ও ‘চা উপজাতি’দের রাজ্যে প্রস্তাবিত জনসংখ্যা নীতি থেকে বাইরে রাখায় কোনও বৈষম্যমূলক নীতির প্রতিফলন ঘটছে না বলে মনে করছেন। তাঁর দাবি, রাজ্যের যারা ভূমিপুত্র এবং উপজাতি, তাদের জন্মহার দ্রুত কমে আসছে। সেজন্য তাদের উপরে জনসংখ্যা নীতি কার্যকর করা যায় না।  

সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি সুবিধা পেতে দুই সন্তান নীতি কার্যকর হতে চলেছে। ঋণ মওকুফই হোক বা সরকারি প্রকল্প, জনসংখ্যা নীতি সংক্রান্ত নিয়ম বিবেচনা করা হবে। কিন্তু চা-বাগানের শ্রমিক এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। ভবিষ্যতে সমস্ত সরকারি সুবিধা সংক্রান্ত প্রকল্পের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা নীতি বিবেচিত হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে ইতোমধ্যেই দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে সরকারি চাকরি ও স্থানীয় নির্বাচনে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/মো.আবুসাঈদ/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।