আমেরিকার সঙ্গে ইরানের সরাসরি আলোচনার গুঞ্জন: রায়িসি'র সাফ জবাব
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i102980-আমেরিকার_সঙ্গে_ইরানের_সরাসরি_আলোচনার_গুঞ্জন_রায়িসি'র_সাফ_জবাব
পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের জন্য আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনার বিষয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম খবর দেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, যে সমঝোতাই অর্জিত হোক না কেন তাতে ইরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের গ্যারান্টি থাকতে হবে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ২৬, ২০২২ ১৮:৪৯ Asia/Dhaka

পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের জন্য আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনার বিষয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম খবর দেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, যে সমঝোতাই অর্জিত হোক না কেন তাতে ইরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের গ্যারান্টি থাকতে হবে।

ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে বর্তমানে ভিয়েনায় চার যোগ এক গ্রুপের মধ্যে আলোচনা চলছে। সব পক্ষই আলোচনা ইতিবাচক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করছে। কিন্তু কোনো কোনো গণমাধ্যম খবর দিয়েছে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। এ ব্যাপারে এক প্রশ্নের উত্তরে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি গতকাল ইরানের এক নম্বর টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার জন্য আমেরিকার এ ইচ্ছা নতুন কিছু নয় বরং বহু দিন ধরে তারা এ আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। যদিও তাদের সে ইচ্ছা এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। 

বাস্তবতা হচ্ছে, পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের জন্য নতুন করে যে সমঝোতাই হোক না কেন তাতে কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। এর অন্যথায় এ সংক্রান্ত কথাবার্তা কেবল গণমাধ্যমের খোরাক হিসেবেই কাজ করবে এর বেশি কিছু নয়। পরমাণু সমঝোতার অতীত তিক্ত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে আমেরিকার কথা ও কাজে কোনো মিল নেই। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ সালে পরমাণু সমঝোতায় সই করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যান এবং তিনি ইরানের ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এ অবস্থায় নতুন করে আস্থা অর্জন কিংবা কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে হলে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। অন্যদিকে ইরানও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলো কিনা তা যাচাই বাছাই করার পরই কেবল ভিয়েনা সমঝোতাকে সফল করার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

বর্তমানে আমেরিকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইরানের সরাসরি কোনো আলোচনা হচ্ছে না। তবে অনানুষ্ঠানিক পেপারের মাধ্যমে ভিয়েনায় অবস্থানরত মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটা যোগাযোগ রয়েছে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না আস্থা অর্জিত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ইরান সরাসরি আমেরিকার সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবে না।

বাস্তবতা হচ্ছে ইরান আমেরিকার সঙ্গে লোক দেখানো কোনো আলোচনায় বসবে না। যতদিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে ততদিন পর্যন্ত ভিয়েনায় আলোচনার বর্তমান যে অবস্থা তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।  

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।