১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়ন করুন
হিরমান্দের পানির হিস্যা নিশ্চিত করুন: মুত্তকির প্রতি আব্দুল্লাহিয়ানের আহ্বান
আফগানিস্তান ও ইরানের মধ্যকার অভিন্ন নদী হিরমান্দের পানির ন্যায্য হিস্যা ইরানকে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে কাবুলের প্রতি এ আহ্বান জানান।
টেলিফোনালাপের শুরুতে তিনি আফগানিস্তানের খোস্ত ও পাকতিকা প্রদেশে ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় আফগান সরকার ও জনগণকে সমবেদনা জানান। এরপর তিনি বলেন, দু’দেশের যৌথ নদীগুলোর বিশেষ করে হিরমান্দ নদীর পানিবণ্টনের ব্যাপারে কাবুল ও তেহরানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো যেন তালেবান সরকার মেনে চলে। আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী দু’দেশের মধ্যে পানি বণ্টন হলে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব আরো শক্তিশালী হবে।
টেলিফোনালাপে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী পাঠানোয় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
১৯৭২ সালে আফগানিস্তান ও ইরানের তৎকালীন সরকার হিরমান্দ নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সই করেছিল। ওই চুক্তি অনুযায়ী ইরান প্রতি সেকেণ্ডে ২৬ ঘনমিটার এবং প্রতি বছর ৮২ কোটি ঘনমিটার পানি পাবে বলে কথা ছিল। তবে বিভিন্ন ঋতুতে পানিপ্রবাহে তারতম্য থাকার কথাও চুক্তিতে উল্লেখ ছিল।২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে তালেবান সরকার ওই চুক্তি মেনে চলবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।তবে দৃশ্যত নদী থেকে প্রয়োজনীয় পানি পাচ্ছে না ইরান।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।