পারমাণবিক আলোচনায় ইরানের যুক্তিসঙ্গত দাবিকে সমর্থন করে বেইজিং: ওয়াং ই
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i113022-পারমাণবিক_আলোচনায়_ইরানের_যুক্তিসঙ্গত_দাবিকে_সমর্থন_করে_বেইজিং_ওয়াং_ই
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জোর দিয়ে বলেছেন, বেইজিং পারমাণবিক আলোচনায় ইরানের যুক্তিসঙ্গত দাবিকে সমর্থন করে। তিনি আরো বলেছেন এক মেরুকেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একতরফা পদক্ষেপ বা কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং বেইজিং পারমাণবিক আলোচনায় ইরানের যুক্তিসঙ্গত দাবিগুলিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২ ১৬:০০ Asia/Dhaka

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জোর দিয়ে বলেছেন, বেইজিং পারমাণবিক আলোচনায় ইরানের যুক্তিসঙ্গত দাবিকে সমর্থন করে। তিনি আরো বলেছেন এক মেরুকেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একতরফা পদক্ষেপ বা কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং বেইজিং পারমাণবিক আলোচনায় ইরানের যুক্তিসঙ্গত দাবিগুলিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ ধারণা প্রচলিত আছে যে পাশ্চাত্য বিশেষ করে আমেরিকা পরমাণু কর্মসূচির ওপর একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে যেটাকে পরমাণু ক্ষেত্রে বর্ণবাদী আচরণ হিসেবে অভিহিত করা যায়। এ কারণে তারা পশ্চিমা অক্ষের বাইরে স্বাধীন দেশগুলোকে পারমাণবিক প্রযুক্তির অধিকারী হতে দেয় না। এ ছাড়া আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলো ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধী দেশগুলোর ওপর সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির জন্য সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে তারা যে কোনো উপায়ে শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি থেকে ইরানকে বিরত রাখার চেষ্টা করে আসছে এবং তেহরানকে হোয়াইট হাউজের নীতির কাছে মাথা নত করতে  বাধ্য করার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডেভিড লুই এ ব্যাপারে বলেছেন, আমেরিকা  ভেবেছিল, চীন, রাশিয়া ও ইরানের মতো মার্কিন বিরোধী দেশগুলোকে চাপে ফেলে কার্য হাসিল করবে কিন্তু ওয়াশিংটনের  সে লক্ষ্য তো পূরণ হয়নি বরং ওই দেশগুলো সম্মিলিতভাবে মার্কিন চাপ ও ষড়যন্ত্র কার্যত ব্যর্থ করে দিয়েছে।  

আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে এখন এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে ইরানের  পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএর সাথে ইরানের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রয়েছে। আইএইএ বহুবার তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বিচ্যুতি ঘটেনি এবং তা শান্তিপূর্ণ। এ অবস্থায় ইরানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ আমেরিকা করছে তা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এ কারণে তেহরানও ভিয়েনায় চলমান পরমাণু আলোচনায় নিজের যৌক্তিক অবস্থান ও নতুন কিছু প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রকে তুলে ধরেছে। ইরানের এ অবস্থানের প্রতি চীন ও রাশিয়ার সমর্থন রয়েছে। কিন্তু তারপরও আমেরিকা ইরানের ব্যাপারে তাদের স্বেচ্ছাচারিতা অব্যাহত রেখেছে এবং ওয়াশিংটন চায় বিশ্বের সব দেশ আমেরিকার কথায় উঠবস করবে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডেভিড সিং বলেছেন, 'আমেরিকা অন্য দেশের ওপর নিজের ইচ্ছাকে জোর করে চাপিয়ে দিয়ে শুধু যে আলোচনাকে আরো জটিল করে তুলছে তাই নয় একই সাথে  পরিস্থিতিকে সংঘাতময় করে তোলার চেষ্টা করছে।'

যাইহোক, আন্তর্জাতিক সমাজ এমন সময় ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির প্রতি সমর্থন দিচ্ছে যখন এ দেশটি পাশ্চাত্যের বিষাক্ত প্রচারণার শিকার এবং এ থেকে বোঝা যায় ইরান সঠিক পথে রয়েছে। তাই চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ইরান কোনোভাবেই তার বৈধ অধিকার থেকে সরে আসতে পারে না।

এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক সমাজের প্রত্যাশা পরমাণু ইস্যুতে বিশ্বের দেশগুলোর অধিকারের প্রতি সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে চীন কেবল বিবৃতি দেয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ করে দিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই সবার প্রত্যাশা যাতে আমেরিকা প্রাচ্যের শক্তি ও অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হতে পারে।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৯ 

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।