বর্তমান মানব জীবনকে আমরা ধর্মের ভিত্তিতে গড়তে চাই: প্রেসিডেন্ট রায়িসি
(last modified Wed, 12 Oct 2022 12:08:52 GMT )
অক্টোবর ১২, ২০২২ ১৮:০৮ Asia/Dhaka

ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির ভাষণের মধ্য দিয়ে তেহরানে ৩৬তম আন্তর্জাতিক ইসলামি ঐক্য সম্মেলন শুরু হয়েছে।

সুন্নিরা মনে করেন ১২ রবিউল আওয়াল এবং শিয়ারা মনে করেন ১৭ রবিউল আওয়াল হচ্ছে বিশ্বনবী (সা.)-এর জন্মদিন। এ কারণে ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইমাম খোমেনির নির্দেশে প্রতি বছর ১২ থেকে ১৭ রবিউল আউয়াল পর্যন্ত এই কয়দিন ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ পালন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শিয়া ও সুন্নি আলেমদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি জোরদার করা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে চিন্তাবিদদের মধ্যে সমন্বয় সাধন, অভিন্ন ও শক্তিশালী মুসলিম উম্মাহ গঠন করা এবং মুসলমানদের মধ্যকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কার্যকর ভূমিকা রাখা।

এ সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, 'ইসলামি ঐক্য সম্মেলনের বার্তা হচ্ছে বর্তমান মানব জীবনকে আমরা ধর্মের ভিত্তিতে গড়তে চাই। মুসলিম জাহানের শহীদরা মুসলমানদের চেতনাকে জাগ্রত করেছে। অনেকে মনে করে ইসলাম ধর্ম ব্যক্তিগত আচার অনুষ্ঠান পালনের বিষয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ইসলামের জন্য শহীদদের রক্ত মুসলিম জাগরণে ভূমিকা রেখেছে। মুসলমানরা চায় ইসলামের ভিত্তিতে নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে এবং এটাই শত্রুদের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ'।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আজকের বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী চক্র ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে। তারা বিশ্বনবী (সা.)কে অবমাননা করছে এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যখনই মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যের ডাক আসে তখনই শত্রুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ কারণে শত্রুরা যাতে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে জন্য মুসলমানদেরকে সচেতন থাকতে হবে। এ কারণে আন্তর্জাতিক ইসলামি ঐক্যসপ্তাহ উদযাপন মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য জোরদার এবং শত্রুর সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

গত কয়েক দশকের অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত হয়েছে যে শত্রুরা সবসময়ই মুসলমানদের সত্যিকারের স্বাধীনতার বিরোধী। দেখা গেছে যখনই মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে তখনই তারা উন্নতি ও স্বাধীনতা থেকে ছিটকে পড়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী নয়া ইসলামি সভ্যতা বিনির্মাণ বিষয়ে বলেছেন, মুসলিম দেশগুলো জ্ঞানবিজ্ঞান, সম্পদ, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক  শক্তির দিক দিয়ে একই রকম অবস্থানে নেই। সে কারণে আমাদের সবার উচিত একে অপরকে সহযোগিতা করা। এ ক্ষেত্রে তিনি ইরানের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।

যাইহোক, তেহরানে আয়োজিত ইসলামি ঐক্যসপ্তা মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টিতে ভূমিকা  রাখবে বলে সবার প্রত্যাশা। #  

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ