ফটো ফিচার: ফজর উৎসব থেকে শুরু করে তেহরানে হালকা বিমানের মহড়া
-
ইরানের উরুমিয়ায় ভারী তুষারপাত
পার্স টুডে- ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র ইভেন্ট হিসেবে পরিচিত '৪৩তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব' বিভিন্ন গণমাধ্যমের দর্শক এবং সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
শীত মৌসুমে ইরানের বিভিন্ন প্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং সামরিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা পার্স টুডে'র এই সচিত্র প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

৪৩তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ১ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তেহরানের মিলাদ টাওয়ার এবং ইরানের বিভিন্ন সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে গত বছরের ইরানি সেরা চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শন এবং বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো তেহরানের মিলাদ টাওয়ারের চারপাশে ইরানি অতি হালকা বিমানের একটি বিশেষ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি তেহরানের কিলিমিয়ান কবরস্থানে একেশ্বরবাদী ধর্মের শহীদদের কবরে সুগন্ধি ছিটানো এবং ফুলস্তবক অর্পনের ১৯তম জাতীয় অনুষ্ঠান 'টিউলিপ অতিথি' অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইরানের কর্মকর্তা, শহীদদের পরিবার এবং ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ইরানের উত্তর-পশ্চিমে উরুমিয়া শহরে ভারী তুষারপাত হয়েছে। এই শহরে তুষারপাতের গভীরতা ৪০ সেন্টিমিটারেরও বেশি পৌঁছেছে।

৯ জানুয়ারি ভোরে তুষারপাত শুরু হয়, যা কোম শহর এবং হযরত মাসুমাহ (সা. আ.)-এর মাজারকে সাদা রঙে আবৃত করে। প্রবল তুষারপাতের কারণে শহরের স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। হযরত মাসুমাহ (সা. আ.) ইসলামের নবীর বংশধর, যাকে মধ্য ইরানের কোম শহরে সমাহিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পারস্য উপসাগরের পানিসীমায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) নৌ বহরে "শহীদ বাহমান বাকেরি" ড্রোন সংযোজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ এবং আইআরজিসির সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি।

ইসলামী বিপ্লবের ৪৬তম বিজয় বার্ষিকীর প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তেহরানে বসবাসকারী রাষ্ট্রদূত, মিশন প্রধান এবং বিদেশি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।#
পার্সটুডে/এমএআর/৯