ইরানি আচার-অনুষ্ঠান: আতিথেয়তা ও সম্মান
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i151430-ইরানি_আচার_অনুষ্ঠান_আতিথেয়তা_ও_সম্মান
পার্সটুডে : আতিথেয়তা ও সম্মান ইরানি জনগণের উদারতা ও মহত্ত্বের পরিচয় বহন করে। ইরানি সংস্কৃতিতে আতিথেয়তা কেবল একটি সামাজিক আচরণ নয়; এটি গভীরভাবে প্রোথিত একটি মূল্যবোধ এবং ইরানের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম স্তম্ভ।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
আগস্ট ২৬, ২০২৫ ১৭:৪৫ Asia/Dhaka
  • ইরানি আচার-অনুষ্ঠান: আতিথেয়তা ও সম্মান
    ইরানি আচার-অনুষ্ঠান: আতিথেয়তা ও সম্মান

পার্সটুডে : আতিথেয়তা ও সম্মান ইরানি জনগণের উদারতা ও মহত্ত্বের পরিচয় বহন করে। ইরানি সংস্কৃতিতে আতিথেয়তা কেবল একটি সামাজিক আচরণ নয়; এটি গভীরভাবে প্রোথিত একটি মূল্যবোধ এবং ইরানের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম স্তম্ভ।

পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধারণার শিকড় নিহিত আছে ইরানের প্রাচীন ইতিহাসে, ধর্মীয় শিক্ষায় এবং সমৃদ্ধ সাহিত্যকোষে। বলা যায়, অতিথিকে সম্মান করা ইরানিদের কাছে এক ধরনের 'শিল্প'।

একজন ইরানির দৃষ্টিতে, মেহমান হচ্ছেন 'আল্লাহর বন্ধু'। তাদের বিশ্বাস- মেহমান ঘরে বরকত ও রহমত বয়ে আনে। এ কারণে মেজবান, অতিথিকে সর্বোত্তম আপ্যায়নের চেষ্টা করেন। এই আতিথেয়তা কেবল খাবার এবং পানীয়তে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িত থাকে সম্মান, স্নেহ, এবং এমন এক আন্তরিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ তৈরির চেষ্টা যাতে অতিথি আপন মনে আরাম বোধ করে।

ইরানি আতিথেয়তার সবচেয়ে লক্ষণীয় রূপ দেখা যায়- বিভিন্ন ধরনের খাবার ও মিষ্টান্ন গ্রহণ করার জন্য অতিথিদের বারবার অনুরোধ করা হয়। এই অনুরোধ নিছক ভদ্রতাসূচক নয়; বরং এটি মেজবানের আন্তরিকতা ও গভীর ইচ্ছার প্রতিফলন, যাতে অতিথি আনন্দ পান।

এই সম্মান অতিথির বিদায়ের সময়ও প্রকাশ পায়। মেজমান সাধারণত অতিথিকে দরজা পর্যন্ত, এমনকি অনেক সময় গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন। সব মিলিয়ে এই আচরণগুলো দেখায় যে, ইরানিদের কাছে আতিথেয়তা কোনো জবরদস্তি নয়, বরং নৈতিক দায়িত্ব এবং এক ধরনের গৌরবের বিষয়। এই দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহ্য সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং ইরানি জনগণের উদার ও মহৎ মনোভাবকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করে।#

পার্সটুডে/এমএআর/২৬