আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সাথে ইরানের আলোচনা ইতিবাচক: বাকায়ি
-
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি
পার্সটুডে-ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইরান এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মধ্যে আলোচনাকে ইতিবাচক বলে মূল্যায়ন করেছেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি সোমবার এক সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বুঝতে পেরেছে যে ইরানের সুরক্ষামূলক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পদ্ধতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী সামরিক আক্রমণের আগের সময়ের মতো হবে না। তিনি আরও বলেন: সংস্থার তত্ত্বাবধানে কোনও দেশের পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ করা নজিরবিহীন এবং এই পরিস্থিতিতে পরিদর্শনের জন্য কোনও প্রোটোকল বা পদ্ধতি ছিল না।"
আণবিক শক্তি সংস্থা এখন বুঝতে পেরেছে, এ বিষয়ে ইরানের মতামত শোনা এবং বিবেচনা করা প্রয়োজন। বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে বাকায়ি আরও বলেন: ভিয়েনা এবং তেহরানে তিন দফা আলোচনার মাধ্যমে এটিই অনুসরণ করা হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা মহাপরিচালক এবং ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত ইরানি প্রতিনিধিদল এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করে। গত শুক্রবার এবং শনিবারও শেষ দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ইরানের এই কূটনীতিক আরও বলেন: আমরা এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি নি, তবে আলোচনার প্রক্রিয়া ইতিবাচক।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণের জন্য ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্টের নিউইয়র্ক সফর সম্পর্কে বাকায়ি আরও বলেন: এটি পরিকল্পনা অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে এবং বিগত বছরগুলোর মতো, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সুযোগকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের অবস্থান এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করার কাজে ব্যবহার করা হবে। সেইসঙ্গে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকীর অবকাশে ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং তার সাথে থাকা প্রতিনিধিদলের ওই বৈঠকে যোগদানের কথা রয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন: পশ্চিম এশিয়ার উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে, যার মধ্যে ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদীদের গণহত্যা চালানোর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত, আশা করা হচ্ছে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের এজেন্ডার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে এই অপরাধ এবং বিপর্যয়ের সমাধান করা, যা এখন একটি আন্তর্জাতিক দাবি।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যার অস্ত্র সম্পর্কে বাকায়ি আরও বলেন: "পশ্চিম এশিয়াকে গণবিধ্বংসী অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পথে এই দখলদার অপশক্তিই একমাত্র বাধা; এই দখলদাররা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) সদস্য নয়, তারা গণহত্যা করে, তাদের ভিত্তি সন্ত্রাস এবং দখলদারিত্বের ওপর নির্মিত এবং তারা ক্রমাগত অন্যান্য দেশগুলোতে আক্রমণ করে।"
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন: "গণহত্যাকারী ইসরাইলকে আঞ্চলিক এবং বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর ও তাৎক্ষণিক হুমকি। এই অপশক্তিকে আন্তর্জাতিক নীতিমালা মেনে চলতে এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্রের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য করা প্রয়োজন।#
পার্সটুডে/এনএম/৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।