আমেরিকার সবুজ সংকেতেই কাতারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল: জেনারেল মুসাভি
-
সৌদ বিন আবদুর রহমান আলে-সানি (বামে) ও জেনারেল মুসাভি
পার্সটুডে- ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল সাইয়্যেদ আবদুর রহিম মুসাভি বলেছেন, আমেরিকার সবুজ সংকেতেই কাতারে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। কাতারের জনগণের প্রতি ইরানের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী সৌদ বিন আবদুর রহমান আলে-সানিকে ফোনে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে কাতারে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ভয়াবহ অপরাধ আখ্যা দিয়ে বলেন, ইরানের সরকার এই হামলার কঠোর নিন্দা জানানয়।
মুসাভি বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এর আগে কাতারের আমিরের সঙ্গে এ বিষয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই অপরাধের নিন্দা জানিয়েছে।
জেনারেল মুসাভি বলেন, কাতার আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। দুই দেশের সম্পর্ক সবসময় ভ্রাতৃত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তাই ইরান কাতারকে কখনো একা ছেড়ে দেবে না, বিশেষ করে দখলদার ইসরায়েলের মতো অপরাধীর মুখে কাতারকে একা রাখবে না। দখলদার ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে অস্থিরতা ও সংঘাতের প্রধান উৎস হয়ে আছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনে দমন-পীড়ন, দখলদারিত্ব ও গণহত্যার পাশাপাশি আঞ্চলিক দেশগুলোর ওপর আগ্রাসনে ইসরায়েল সবসময় পশ্চিমা সমর্থন, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তা পেয়েছে। এ কারণেই ইসরায়েল এই ধরনের আগ্রাসনের সাহস পাচ্ছে।
মুসাভি বলেন, কাতারের ওপর সাম্প্রতিক হামলা আমেরিকার সবুজ সংকেত ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব হয়নি। বিশ্বের সবাই জানে, পশ্চিমাদের পূর্ণ সহায়তা ছাড়া এই বর্বর ইসরায়েরের টিকে থাকা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
তিনি কাতারি মন্ত্রীর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো পর্যায়ে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। কাতারের সরকার, জনগণ ও সেনাবাহিনী যেন এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকে যে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান শেষ পর্যন্ত তাদের পাশে থাকবে।
অন্যদিকে, কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী সৌদ বিন আবদুর রহমান আলে-সানি টেলিফোন আলাপে কাতারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলাকে সরাসরি “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” আখ্যা দেন এবং ইরান সরকারের সংহতি বিশেষকরে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান কাতারের আমিরকে ফোন করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি ইসরায়েলি হামলাকে পেছন থেকে খঞ্জর মারার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলার সময় এই হামলা চালানো হয়েছে। এটা থেকে প্রমাণ হয়, ইসরায়েল কোনো নীতি-নৈতিকতা বা আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা করে না।
আল-সানি বলেন, “এই আগ্রাসন সব আন্তর্জাতিক নীতি ও কূটনীতির রেড লাইন অতিক্রম করেছে।” তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, শিগগিরই দুই দেশ যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে এসব বিষয় পর্যালোচনা করবে।
পার্সটুডে/এসএ/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।