অপরাধমূলক নীতিমালা সংশোধন করুন: জি-সেভেনের প্রতি ইরান
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i151974-অপরাধমূলক_নীতিমালা_সংশোধন_করুন_জি_সেভেনের_প্রতি_ইরান
পার্স টুডে - ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গ্রুপ অফ সেভেনের যৌথ বিবৃতিতে থাকা ভিত্তিহীন দাবির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
(last modified 2025-10-27T13:35:51+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫ ১৫:৩৬ Asia/Dhaka
  • ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পার্স টুডে - ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গ্রুপ অফ সেভেনের যৌথ বিবৃতিতে থাকা ভিত্তিহীন দাবির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন: এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের উদ্ভাবকদের উচিত ইরান ও এ অঞ্চলের প্রতি তাদের ভুল ও অপরাধমূলক নীতি ধামাচাপা দেয়ার লক্ষ্যে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর একগুয়েমিপনার পরিবর্তে এইসব বস্তাপচা নীতি সংশোধন করা, কারণ এ ধরনের নীতি সেকেলে মানসিকতা, অহংকারী বা হামবড়া ভাব এবং ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে উদ্ভুত। 

ইরনার বরাত দিয়ে পার্স টুডে জানিয়েছে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার একটি বিবৃতি জারি করে গ্রুপ অফ সেভেনের যৌথ বিবৃতিতে থাকা ভিত্তিহীন দাবিগুলো নাকচ করে দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে: 

জি-সেভেন জোটের ইরান বিরোধী বিবৃতি ভিত্তিহীন, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও পুরোপুরি ভ্রান্ত এবং এই বিবৃতি বাস্তবতার জঘন্যতম বিকৃতির দৃষ্টান্ত, তাই ইরান এই প্রতারণামূলক, তথ্য-বিকৃতির ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিমূলক প্রচেষ্টার তীব্র ও জোরালো নিন্দা জানায়। 

গত শুক্রবার জি-সেভেনের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যে ইরান 'বহুজাতিক নিপীড়ন' চালাচ্ছে ও নানা ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী তৎপরতা চালাচ্ছে এবং  আর তাই ইরানের কথিত এইসব তৎপরতার নিন্দা জানিয়েছে ওই জোট। 

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান নয় বরং জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোই বিশ্বের নানা অঞ্চলে, বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়ায় অবৈধ ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী নানা পদক্ষেপ নিয়ে নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীনতা জোরদার করেছে।   
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: নিঃসন্দেহে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করার ক্ষেত্রে তাদের অসদাচরণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য G7 সদস্যদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে তাদের সংশ্লিষ্টতা ও অংশীদারিত্বের কারণে। অধিকৃত ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক সংঘটিত মানবিক ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনে ও সেইসাথে পরিচিত নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করার জন্যও জি-সেভেনভুক্ত সরকারগুলো দায়ি থাকবে বলে এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেনসহ জি-সেভেনের অন্য সদস্য দেশগুলো এমন সময় ইরান সম্পর্কে ভিত্তিহীন মিথ্যাচার প্রচার করছে যখন অধিকৃত ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযানসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইল ক্রমাগত যুদ্ধে লিপ্ত। ইরান বিরোধী বিবৃতি দেয়া এই সরকারগুলো শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ এবং গণহত্যায় তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও জড়িত থাকার বিষয়টি থেকে জনসাধারণের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য এই বিবৃতি দেয়নি বলে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের হোতাদের উচিত পুরনো আধিপত্যবাদী এবং ঔপনিবেশিক মানসিকতার মধ্যে প্রোথিত বিচ্যুতিতে অবিচল থাকার পরিবর্তে, ইরান এবং এই অঞ্চলের প্রতি তাদের ত্রুটিপূর্ণ ও অপরাধমূলক নীতিগুলি সংশোধন করা।

কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জি-সেভেন গ্রুপের সদস্য। #
 

পার্স টুডে/এমএএইচ/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।