আমেরিকা থেকে ইরান ফিরলেন মারজিয়া হাশেমি, বিপুল সংবর্ধনা
(last modified Wed, 30 Jan 2019 19:21:12 GMT )
জানুয়ারি ৩১, ২০১৯ ০১:২১ Asia/Dhaka
  • বিমানবন্দরে মারজিয়া হাশেমি
    বিমানবন্দরে মারজিয়া হাশেমি

আমেরিকায় বিনা অভিযোগে ১০ দিন আটক থাকার পর সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ইরানের প্রেস টিভির খ্যাতিমান উপস্থাপিকা মারজিয়া হাশেমি তেহরানে ফিরেছেন।

আজ (বুধবার) রাত ১০টার দিকে তেহরানের ইমাম খোমেনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে। এসময় মারজিয়া হাশেমির আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, সরকারি কর্মকর্তা ও বিপুলসংখ্যক জনতা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে ইরানের সাবেক স্পিকার গোলাম আলী হাদ্দাদ আদেল, প্রেস টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইআরআইবি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের প্রধান ড. পেইমান জেবেলি এবং বিশ্ব কার্যক্রমের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং উপমহাদেশের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হাসান নওরোজি উপস্থিত ছিলেন।

মারজিয়া হাশেমিকে ফুলেল শুভেচ্ছা

আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী ৫৯ বছর বয়সি সাংবাদিক মারজিয়া হাশেমি তরুণ বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি একজন ইরানি নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গত কয়েক দশক ধরে ইরানে বসবাস করছিলেন। গত ১৩ জানুয়ারি আমেরিকার সেন্ট লুইস ল্যাম্বার্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি নিজের অসুস্থ ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে আমেরিকা সফরে যান।

তাঁকে আটকের প্রতিবাদে ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। তীব্র প্রতিবাদের মুখে গত বুধবার সকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে ২৩ সদস্যের জুরি বোর্ডে মারজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগে গঠনের শুনানি হয়। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে মুক্তি দেয়ার আদেশ দেন গ্রান্ড জুরি।  

ইমাম খোমেনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মারজিয়া হাশেমি

মুক্তির পর মারজিয়া হাশেমি প্রেস টিভির কাছে তার আটক ও কারাগারের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে সরাসরি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এর আগের বার আমেরিকা সফরের সময় তিনি মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে নাজেহাল হয়েছিলেন। এবারের আটকের ঘটনা নাজেহাল ও নির্যাতনের নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

মারজিয়া হাশেমি জানান, তাকে আটকের পর মার্কিন গোয়েন্দারা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার দেহ থেকে ডিএনএ নিয়েছে এবং তারপর ওয়াশিংটনের কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায়। এরপর তাকে আরেকটি নির্যাতন কেন্দ্রে নেয়া হয় এবং সেখানে তার পোশাক খুলে তল্লাশি করা হয়। তিনি বলেন, “আমি বাস্তব জীবনে মুসলিম এবং ইসলামের চর্চা করি পাশাপাশি হিজাব পরি। তারপরও মার্কিন গোয়েন্দারা এ ধরনের অন্যায় করতে দ্বিধা করে নি।”#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩০

  খবরসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব লেখা ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং নোটিফিকেশনের জন্য লাইক দিন