আইএস সন্ত্রাসীদের অবস্থানে সিরিয়ার বিমান হামলা: অথচ হতাহত হল তুর্কি সেনারা!
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i77665-আইএস_সন্ত্রাসীদের_অবস্থানে_সিরিয়ার_বিমান_হামলা_অথচ_হতাহত_হল_তুর্কি_সেনারা!
গত কয়েক দিনে সিরিয়া পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে। তুরস্কের সেনাবাহিনী আবারো সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে সিরিয় সেনা অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। তবে এ হামলার কিছু পরেই সিরিয়ার সেনাবাহিনীও শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও সন্ত্রাসীদের অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর খবর দিয়েছে। ওই হামলায় তুরস্কের দুই সেনা নিহত এবং পাঁচ সেনা আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
(last modified 2025-10-27T13:35:51+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০ ১৮:২৯ Asia/Dhaka
  • আইএস সন্ত্রাসীদের অবস্থানে সিরিয়ার বিমান হামলা: অথচ হতাহত হল তুর্কি সেনারা!

গত কয়েক দিনে সিরিয়া পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে। তুরস্কের সেনাবাহিনী আবারো সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে সিরিয় সেনা অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। তবে এ হামলার কিছু পরেই সিরিয়ার সেনাবাহিনীও শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও সন্ত্রাসীদের অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর খবর দিয়েছে। ওই হামলায় তুরস্কের দুই সেনা নিহত এবং পাঁচ সেনা আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ অবস্থায় তুরস্ক কেন সিরিয়ায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এর উত্তরে বলা যায়, প্রথমত, ইদলিব হচ্ছে সিরিয়ার সর্বশেষ প্রদেশ যেখানে আইএস সন্ত্রাসীরা ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে এবং ওই অঞ্চল তাদের দখলে। ওইসব সন্ত্রাসীদের প্রতি তুরস্ক সরকারের সমর্থন রয়েছে। গত দুই মাসে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও তাদের মিত্ররা ইদলিব প্রদেশের প্রায় ১৩শ' বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এখন তারা ইদলিবের কেন্দ্রিয় শহরের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান সিরিয়া ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে বলেছেন, তারা যদি ইদলিব থেকে সরে যায় তাহলে এই সংকট সমাধানের জন্য আঙ্কারা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবে।

সিরিয়ায় তুরস্কের হামলা ও উত্তেজনা সৃষ্টির দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, সিরিয়ার ভূখণ্ডের প্রতি তুরস্কের লোলুপ দৃষ্টি। দীর্ঘদিন ধরে তুরস্ক সরকার সিরিয়ার কিছু কিছু  এলাকার ওপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে ইদলিব প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ সেরাকাব শহর মুক্ত হওয়ার পর তুরস্ক বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোনো কোনো বিশ্লেষকের মতে, সেরাকাব শহর থেকে সিরিয় সেনাদের পিছু হটানোর জন্য তুরস্ক ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে।

সিরিয়ায় তুরস্কের আগ্রাসন ও উত্তেজনা সৃষ্টির তৃতীয় কারণ হচ্ছে, এর পেছনে মার্কিন উস্কানি। ধারণা করা হচ্ছে কিছু বিষয়ে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান আবারো আমেরিকার আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন এবং ওয়াশিংটনের সবুজ সংকেতে সিরিয়ার ইদলিবে হামলা চালিয়েছেন। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তুরস্কের প্রতি সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে ইদলিবে আগ্রাসন তুরস্কের জন্য আমেরিকার পাতা ফাঁদ।

তবে সিরিয়ায় তুর্কি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সোচ্চার হয়েছে। সিরিয়ায় তুরস্কের হামলার ব্যাপারে ক্রেমলিন আঙ্কারাকে সতর্ক করে দিয়েছিল। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, সিরিয়ার ব্যাপারে তুরস্কের সঙ্গে তাদের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর রুশ জঙ্গিবিমান তুর্কি সামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। এতে আট তুর্কি সেনা হতাহত হয়েছে।

যাইহোক, সিরিয়ার প্রতি রাশিয়ার সমর্থন থেকে বোঝা যায় তুরস্কের বিরুদ্ধে তাদের হামলা অব্যাহত থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতি আঙ্কারার জন্য ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।#       

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২২