ইসলামী বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেনী (রহ.) সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য
-
ইমাম খোমেনী (রহ.)
ইসলামী বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেনী (রহ.) সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
এসব তথ্য প্রকাশ করেছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর অফিসিয়াল বাংলা ফেসবুক পেজ।
হজরত ইমাম খোমেনী ১৯০২ সালে এক সম্মানিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সাল থেকে রেজা শাহের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ইমাম খোমেনীকে নির্বাসনে পাঠায় স্বৈরাচারী শাহ। ১৫ বছর নির্বাসনে ছিলেন তিনি।
ইরাক, তুরস্ক ও পরবর্তীতে ফ্রান্সে নির্বাসনে থাকার সময়ও তিনি মার্কিন সমর্থনপুষ্ট শাহের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তৎপরতা অব্যাহত রাখেন। ইরানজুড়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শাহের নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় অনেকে হতাহত হন। পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে পড়ে।
রেজা শাহ পালিয়ে যান। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি ইমাম খোমেনী ইরানে ফিরে আসেন। ইরানে ইসলামী বিপ্লবের বিজয় অমুসলিমসহ বিভিন্ন মুক্তিকামী জাতির ওপর প্রভাব ফেলে।
ইসলামী বিপ্লবকে ধ্বংস করতে আমেরিকা সাদ্দামকে অস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি ইরানে হামলার জন্য উসকানি দেয়। ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে ইরান ৮ বছর সাদ্দামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং শেষ পর্যন্ত তাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করে। ১৮টি ক্যু প্রচেষ্টা, অসংখ্য নিষেধাজ্ঞা ও ১৭ হাজার ইরানিকে হত্যার মাধ্যমেও ইসলামী বিপ্লব ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয় শত্রুরা।
১৯৮৯ সালের ৩ জুন রাতে ইমাম খোমেনী ইন্তেকাল করেন। ইমাম খোমেনীর ইন্তেকালের পর বিশেষজ্ঞ পরিষদ আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীকে সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে নিয়োগ দেয়।
১৯৮৯ সালের ৬ জুন ইমাম খোমেনী (রহ.)’র জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় জানাজা।গিনেস রেকর্ড বুক বলছে, ইমাম খোমেনী (রহ.)'র জানাজায় এক কোটি দুই লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিল।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, “আমাদের প্রিয় ইমাম আমাদের চোখের সামনে থেকে চলে গেছেন,তাঁর দেহ চলে গেছে,কিন্তু ইমামের জীবনাদর্শ,মতাদর্শ,আচার-আচরণ ও শিক্ষা আমাদের জনগণের মাঝে,মুসলিম জাতির মাঝে রয়ে গেছে।"#
পার্সটুডে/এসএ/৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।