শ্রোতাদের মতামত
৯ আগস্ট প্রচারিত 'প্রিয়জন' অনুষ্ঠান সম্পর্কে একটি সার্বিক মূল্যায়ন
প্রিয় মহোদয়, রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের সকল কলাকুশলী ও শ্রোতাবৃন্দকে আমার অন্তরের ভালোবাসা ও প্রীতিময় শুভেচ্ছা জানাই। গত ৯ আগস্ট সান্ধ্য অধিবেশনে 'প্রিয়জন' অনুষ্ঠানটি শুনে ভীষণ ভালো লাগল। শ্রোতাদের চিঠিপত্র, ইমেইল, মতামত ও সরাসরি সাক্ষাৎকার নিয়ে সাজানো এই অনুষ্ঠানটি আমার ভীষণভাবে একটি প্রিয় অনুষ্ঠান।
সারা সপ্তাহের অপেক্ষার পর 'প্রিয়জন' আসে আমাদের ঘরে। গাজী আব্দুর রশিদ, আকতার জাহান ও আশরাফুর রহমানের সম্মিলিত পরিবেশনায় ওইদিনের অনুষ্ঠানটি আমার হৃদয় স্পর্শ করে গেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আশরাফুর রহমান একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণী শোনান যা আমাদের সমাজজীবনে ভীষণভাবে কার্যকরী। এরপর চিঠিপত্রের ঝাঁপি খোলা হয়। প্রথম পত্রে হাফিজুর রহমান জানান, ৩০ বছর ধরে রেডিও তেহরান শোনার পর ২০২১ সালের জুন মাসে রেডিও তেহরানের শ্রেষ্ঠ শ্রোতা হতে পেরে তিনি ভীষণভাবে আপ্লুত। শরিফা আকতার পান্না তার চিঠিতে 'ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস' প্রসঙ্গে গত ৩ জুলাই প্রচারিত অনুষ্ঠানে কারবালা-৪ যুদ্ধে ইরানের ব্যর্থতাকে তিনি মেনে নিতে পারেন নি। ইরানের প্রতি তার ভালোবাসার এ এক অনন্য উদাহরণ।
পুষ্প মৈত্র লিখেছেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে বেশ কিছুদিন অনুষ্ঠান না শুনতে পারলেও আবার নিয়মিতভাবে শুনবেন। তার প্রত্যাশা সফল হোক এই কামনা করি।
আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থানাধিকারী আবু তাহেরের লেখায় রেডিও তেহরানের গণমাধ্যম হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কথা উঠে এসেছে।
মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম মিঞা জানান, ১৯৯৪ সালের পর বর্তমানে ফেসবুক লাইভে আবার নিয়মিতভাবে রেডিও তেহরান শুনছেন। এতদিনের পুরোনো শ্রোতাকে ফিরে পেয়ে আমরাও খুশি হয়েছি।
এরপর সরাসরি সাক্ষাৎকারে শিক্ষিকা মনীষা রায় জানান, রেডিও তেহরান থেকে প্রচারিত জ্ঞানবর্ধক অনুষ্ঠানগুলো তার অত্যন্ত প্রিয়। মহিলাদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের পরামর্শ দেন তিনি। তারপর শাওন হোসাইন তার পত্রে ১২ জুলাই প্রচারিত 'প্রিয়জন' অনুষ্ঠান সম্পর্কে লেখেন 'এটি নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত এক অনবদ্য অনুষ্ঠান'।
নিজামুদ্দিন শেখ তার চিঠিতে 'রংধনু' অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করে লেখেন 'এটি উত্তম আচরণের শিক্ষা দেয়, জীবন গঠনের শিক্ষা দেয়'।
এরপর আমার পাঠানো 'স্বাস্থ্যকথা' অনুষ্ঠান সম্পর্কিত মতামত পড়া হয়। আমার রেডিও তেহরানের সাথে নিয়মিত যুক্ত থাকার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে যে সকল শ্রোতাবন্ধু বার্তা পাঠিয়েছেন তাদের প্রাপ্তিস্বীকার করেন সঞ্চালকগণ।
সবশেষে একটি জীবনমুখী গান বেজে ওঠে। গানটির কথা,সুর ও গায়কের কন্ঠ আমায় বিমোহিত করে তোলে। অন্য এক মায়াবী জগতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সেই সুরের দোলায় ভাসতে ভাসতে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। এমন মনোমুগ্ধকর ও উপভোগ্য অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য প্রযোজক আশরাফুর রহমানকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মতো শেষ করছি।
ভাস্কর পাল
মহেন্দ্রনগর অগ্রগামী ক্লাব
পোস্টঃ নাটাগড় (সোদপুর)
জেলা: উত্তর ২৪ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।