মার্কিন বাহিনীকে পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছে আইআরজিসি
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i99578-মার্কিন_বাহিনীকে_পরাজয়ের_স্বাদ_আস্বাদন_করিয়েছে_আইআরজিসি
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র সাহসী সেনারা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আবারো আন্তরিকতা ও দৃঢ় ইচ্ছা শক্তির প্রমাণ দিয়েছে এবং এ অঞ্চলে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীকে পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছে।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
নভেম্বর ০৪, ২০২১ ১৯:১২ Asia/Dhaka

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র সাহসী সেনারা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আবারো আন্তরিকতা ও দৃঢ় ইচ্ছা শক্তির প্রমাণ দিয়েছে এবং এ অঞ্চলে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীকে পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মার্কিন কর্মকর্তারা যখন ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন তখন আইআরজিসি'র বীর সেনারা ওমান সাগরে দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে ইরানি তেল চুরির মার্কিন চেষ্টা রুখে দিয়েছে। রপ্তানির জন্য একটি জাহাজে করে ইরানি তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় মার্কিন বাহিনী এটির গতিরোধ করে এবং জাহাজ থেকে ইরানি তেল খালাস করে অন্য আরেকটি জাহাজে ভরে তা অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এরপর ইরানি নৌসেনারা ক্ষিপ্রগতিতে অভিযান চালিয়ে মার্কিন তেলবাহী জাহাজ আটক করে ইরানে নিয়ে আসে। যে জাহাজে করে আমেরিকা ইরানি তেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল সেটার পেছনে তাদের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ও হেলিকপ্টার ছিল। কিন্তু ইরানি বাহিনীর সঙ্গে পেরে না ওঠায় তারা সে স্থান ত্যাগ করে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানি নৌ সেনারা আবারো প্রমাণ করেছে আইআরজিসিসহ দেশটির অন্য সব বাহিনী ইরাকের সঙ্গে আট বছরের প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো রকম ত্রুটি করেনি। এ ছাড়া, ইরানের কুদস ব্রিগেডের প্রধান কাসেম সোলাইমানি মার্কিন ড্রোন হামলায় শহীদ হওয়ার পর আইআরজিসির সেনারা গত বছর ৮ জানুয়ারি ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাটিতে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। ওই হামলার ঘটনায় শত্রুর যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় ইরানের পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার শক্তি সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়।

প্রকৃতপক্ষে, ইসলামি ইরান ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, জলে ও স্থলে নজিরবিহীন সামরিক শক্তি অর্জন করেছে। আর ড্রোন প্রযুক্তিতে ইরান বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সামরিক শক্তি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদী ও বলদর্পী শক্তিগুলো দেশে দেশে নিরীহ মানুষ হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে সে অবস্থায় আমাদের সামরিক শক্তি বাড়ানো স্বাভাবিক বিষয়। কেননা শত্রুরা আমাদের শক্তি উপলব্ধি না করা পর্যন্ত এ অঞ্চলে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হবেনা।

এ ক্ষেত্রে আইআরজিসি দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মৌলিক ভূমিকা পালন করছে। অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে তারা পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালীতে নিরাপত্তা জোরদার ও নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ অবস্থায় আমেরিকা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞার আশ্রয় নিয়েছে। এমনকি আইআরজিসিকেও তথাকথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। কিন্তু ইরানের নৌ সেনারা ইরানের তেল চুরির মার্কিন চেষ্টা রুখে দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত। #

পার্সটুডে /রেজওয়ান হোসেন/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।