শ্রোতাদের মতামত
'রেডিও তেহরান ডি-এক্সারদের জন্য অন্যতম সেরা প্লাটফরম হতে পারে'
যে সময় দুই বাংলার বাংলাভাষী মানুষ 'রেডিও' নামক শব্দটি প্রায় ভুলে যেতে বসেছে সেসসময় রেডিও তেহরান সময়ের পালা বদলকে স্বাগত জানিয়ে নতুন সাজে সেজে উঠছে, যা আমাদের ডি-এক্সারদের জন্য অভাবনীয় ব্যাপারই বলতে হবে।
ডয়চে ভেলে, রেডিও ভেরিতাস এশিয়া, ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি বাংলার মত রেডিও সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে, সেখানে রেডিও তেহরান নতুন উদ্যোমে জেগে উঠেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কথা চিন্তা করে শর্টওয়েভ কার্যক্রম চালু রাখার জন্য রেডিও তেহরানকে 'বর্তমান সময়ের সেরা গণমাধ্যম' বলা যেতেই পারে। পুরাতন ডি-এক্সিং শখকে ভালোবেসে ডি-এক্সার বন্ধুরা রেডিও তেহরানকে নিয়ে মেতে থাকলে সব কিছুই পাবেন।
সময়ের স্রোতের সাথে তালমিলিয়ে রেডিও তেহরান ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব সকল জায়গাতে অবস্থান করছে। যে কারণে অনুষ্ঠান শোনার কোনটির ঘাটতি নেই।
রেডিও তেহরান থেকে সব চাইতে বড় প্রাপ্তি হলো- শ্রোতা মূল্যায়ন। অনুষ্ঠান মতামত বা সাক্ষাৎকার যাই পাঠান না কেন- ভিন্ন ভালো লাগার আবহে প্রিয়জন ও ওয়েব সাইটের মাধ্যমে তা ফেরত আসে। নিজেকে মেলে ধরতে, পরিচিতি বাড়াতে এবং ডি-এক্সিং শখকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য রেডিও তেহরান বর্তমান সময়ের সকল ডি-এক্সারের জন্য অন্যতম সেরা ডি-এক্স প্লাটফরম হতে পারে।
রেডিও তেহরানের প্রতি অনুরোধ থাকবে শ্রোতা/ডি-এক্সারদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে আরও সময় উপযোগী অনুষ্ঠান উপহার দেওয়া, যাতে করে দিন দিন শ্রোতা সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। রেডিও তেহরানের পথ চলা আরও সুন্দর হোক, পূর্বের ন্যায় আগামী দিনেও সাথে থাকব এমনটি প্রত্যাশা। ভালো থাকার শুভ কামনা। রেডিও তেহরানের দীর্ঘায়ু কামনা করি।
প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুরুল আলম রিপন
প্রেসিডেন্ট, আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব ঢাকা
বাংলাদেশ।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৯