চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন
'প্রিয়জন' অনুষ্ঠানে ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর বাণী সম্পর্কে মতামত
প্রিয় মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। প্রিয়জন রেডিও তেহরানের অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। শ্রোতাদের বৈচিত্র্যময় চিঠি ও মতামত আমাদের মুগ্ধ করে। তবে অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি হাদিস বা বাণী প্রচারিত হয়। সেটি আমাদের খুব ভালো লাগে। আমার এই চিঠির বিষয়টিও তাই।
১৫/০১/২০২৪, সোমবার প্রিয়জনের উপস্থাপনায় ছিলেন গাজী আবদুর রশিদ, আকতার জাহান ও আশরাফুর রহমান। অন্যান্য দিনের মত আজও একটি বাণী দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বাণীটি ছিল ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর। তিনি বলেছেন, খাটি ইমানদার উত্তেজিত হয়ে তাকওয়ার সীমা লংঘন করে না। কারো স্বার্থে বা অনুকুলে অন্যায় কিছু করে না। এবং ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নিজের প্রাপ্য অংশের বেশি নেয় না।
খুব ভালো লেগেছে ইমাম সাদিক (আ.) এর বাণীটি। তাঁর এ বাণীটিতে তিনটি অংশ রয়েছে। তিনটি শিক্ষাই আমাদের জীবনকে সঠিক পথে চালিত করতে সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস করি।
ইমাম প্রথমেই বলেছেন যে, খাটি মুসলমান উত্তেজিত হয়ে ভুল কাজ করে না, সীমা লংঘন করে না। যার প্রতি যতটুকু দরকার, তারসাথে ততটুকুই ব্যবহার করে। খাটি ইমানদার ধৈর্যধারণ করে সকলের প্রতি সঠিক ব্যবহার করে থাকেন।
ইমাম আরো বলেছেন যে, খাটি ইমানদার ব্যক্তি কারো স্বার্থে বা অনুকুলে অন্যায় কিছু করে না। আজকাল আমাদের সমাজে এরূপ দুশ্চরিত্র লোকের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এসব লোক ধার্মিকের বেশ ধরে সমাজে চলাফেরা করে। আর সুযোগ বুঝে সমাজের লোকদের সাথে অন্যায় করে থাকে। তারা সকল মানুষের প্রতি সমান আচরণ করতে পারে না। আমরা মনে করি, আজকের এ বাণীটি শুনার পর সকল ব্যক্তিই কারো স্বার্থে বা অনুকুলে অন্যায় কিছু করবে না।
সবশেষে ইমাম সাদিক (আ.) জানিয়েছেন যে, খাটি ইমানদার ব্যক্তি অন্যের হক মেরে দেয় না। অন্যের সম্পদ থেকে নিজে লাভবান হয় না। কোন স্বার্থের বিনিময়ে কোন কাজ করে না।
পরিশেষে আমরা যেন ইমাম সাদিক (আ.) এর বাণীটি আমাদের জীবনে প্রয়োগ করে সঠিক পথে চলতে পারি সে কামনাই করছি।
ধন্যবাদান্তে,
মোঃ শাহাদত হোসেন
সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ
কিশোরগঞ্জ– ২৩০০, বাংলাদেশ।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৮