কথাবার্তা: 'করোনা যুদ্ধে রাশিয়ার বাজিমাত' এল টিকা..
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১১ আগস্ট মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম :
- বাংলাদেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৪ ডলার–প্রথম আলো
- প্রদীপে চাপা পড়েছে লিয়াকতের অপকর্ম-দৈনিক যুগান্তর
- মাঠ প্রশাসনে ক্যাডার নন ক্যাডার দ্বন্দ্ব-দৈনিক সমকাল
- চীন বাংলাদেশ নতুন অধ্যায়ের সূচনা-দৈনিক মানবজমিন
- ডিসেম্বরেই চলতি শিক্ষাবর্ষ সমাপ্তির চিন্তা নইলে অটো পাস-দৈনিক ইত্তেফাক
- রাশিয়ার ভ্যাকসিন করোনামুক্ত বিশ্বের পথ দেখাবে-পুতিন-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- বাংলাদেশসহ ১৬ দেশ থেকে ইতালি প্রবশে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল-কালের কণ্ঠ
ভারতের শিরোনাম:
- বছর নষ্ট হবে না, ক্লাস, পরীক্ষা সবই হবে, জানিয়ে দিল শিক্ষা মন্ত্রক-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
- করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মোদির বৈঠক-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- যোগীর রাজ্যে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে গুলিতে ঝাঁঝরা বিজেপি নেতা, তদন্তের নির্দেশ-দৈনিক আজকাল
পাঠক/শ্রোতা! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
শুরুতেই বিশ্বজুড়ে করোনার আপডেট খবর। তারপর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর।
একনজরে বিশ্ব করোনার খবর: ওয়ার্ল্ডওমিটারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বিশ্বব্যাপী মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৫১৮ জন। আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৯ হাজার ২১২ ছাড়াল।
বাংলাদেশের করোনা আপডেট খবরে প্রথমআলোসহ বিভিন্ন দৈনিকে লেখা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৭১ জন। সব মিলিয়ে করোনা শনাক্ত ছাড়াল ২ লাখ ৬৩ হাজার।
আর ভারতের খবর- দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন, আনন্দবাজার পত্রিকাসহ কয়েকটি দৈনিকে লেখা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় ৫৩ হাজার ৬০১ জন করোনায় আক্রান্ত। মোট আক্রান্ত ২২ লাখ ৬৮ হাজার ছাড়াল। একদিনে মারা গেছেন ৮৭১ জন।

বিশ্বে সবার আগে করোনা ভাইরাসের টিকা অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়া। প্রথমেই এই টিকা দেয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক মেয়েকে। মঙ্গলবার মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফান্সেকালে এ ঘোষণা দেন পুতিন। উল্লেখ্য, সারাবিশ্বে টিকা আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীদের প্রায় ২০০ গ্রুপ।
বিশ্বের অন্য দেশগুলিকে পিছনে ফেলে রাশিয়া ঘোষণা করল তারাই প্রথম করোনার টিকা তৈরি করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ এই ঘোষণা করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্টের এই দাবিকে ঘিরে গোটা দুনিয়া জুড়েই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ করোনার টিকা তৈরির দৌড়ে ছিল আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশ। রুশ প্রেসিডেন্টের দাবি সত্যি হলে, শেষ মুহূর্তে মস্কোই যে বাজিমাত করল তা বলছেন অনেকেই। প্রথম টিকাটি দেওয়া হয়েছে পুতিনের মেয়েকে।
করোনার টিকা তৈরির প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছিল রাশিয়াও। মানব শরীরে পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপে সেই টিকা সাফল্য পেয়েছে বলে দাবিও করেছিলেন রুশ বিজ্ঞানীরা। অগস্টেই সাধারণের জন্য ওই টিকা তৈরি হয়ে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ওই টিকা পরীক্ষার শেষ ধাপেও সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুতিন। এ দিন একটি টেলিভিশন বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে রাশিয়াই প্রথম টিকা তৈরি করেছে।’’ ওই টিকা ‘দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ক্ষমতা’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলেও দাবি করেছেন পুতিন। রাশিয়ার ওই টিকাটির নাম রাখা হয়েছে ‘স্পুটনিক ভি’। ১৯৫৭ সালে ওই নামেই একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া।
পুতিন আরও জানিয়েছেন, ‘‘আমার এক মেয়েকেও ওই টিকা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমি এই ভাবে দেখছি যে, সে-ও এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করল।’’ রাশিয়া যে দ্রুত করোনার টিকা তৈরি করে ফেলবে কিছু দিন আগে থেকেই এই দাবি করে আসছিলেন রুশ বিজ্ঞানীরা।

করোনায় বাংলাদেশের মানুষের উপর প্রভাব সম্পর্কিত দৈনিক ইত্তেফাকের একটি প্রতিবেদনের লেখা হয়েছে, করোনায় সাধারণের দুর্বিষহ জীবন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে দুর্দিন। দুটো ঈদ গেল। তার তাগে বৈশাখ। আগে এসব উৎসব মানেই ছিল রোজগেরে মানুষের জন্য বাড়তি আয়ের সুযোগ। কিন্তু এবারে তা হয়নি। উৎসবকেন্দ্রিক ব্যবসায় ধস নামিয়ে দিয়েছে করোনা। করোনার সঙ্গে বিশ্বমন্দা—দুই মিলিয়ে বড়দের মতো ছোট ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত। অন্যদিকে, জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম সাধারণ মানুষও ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে নিস্ব প্রায়। পণ্যের উৎপাদক থেকে বিক্রেতা এবং ক্রেতা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। অনেক ক্ষুদ্র—মাঝারি উদ্যোক্তার ব্যবসায় ফেরা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। অতিক্ষুদ্র থেকে শুরু করে মাঝারি কিংবা বড়—সব খাতই ধরাশায়ী হয়েছে করোনার থাবায়। ফলে, বাংলাদেশে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরো বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদগণ। তাদের মতে, অনানুষ্ঠানিক খাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে।

অর্থনীতির অন্য একটি খবরে দৈনিক প্রথম আলোতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বিদায়ী অর্থবছর (২০১৯-২০) শেষে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪ ডলার। তার আগের অর্থবছরে মাথাপিছু গড় আয় ছিল ১ হাজার ৯০৯ ডলার। অর্থাৎ, দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় এক বছরের ব্যবধানে ১৫৫ ডলার বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মাথাপিছু আয়ের সাময়িক হিসাবে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বাড়তি বিল করার নির্দেশ দিয়ে আইন ভেঙেছেন কর্মকর্তারা-প্রথম আলোসহ বিভিন্ন দৈনিকের এ খবরে লেখা হয়েছে,
গ্রাহকের কাছ থেকে বিদ্যুতের মূল্য বাবদ কত টাকা কোন খাতে এবং কীভাবে নিতে হবে, তা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) উন্মুক্ত গণশুনানির মাধ্যমে ঠিক করে দেয়। এর বাইরে গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়তি এক টাকাও নেওয়া বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিভিন্ন সময় ভোক্তারা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে বিদ্যুতের বিল বেশি নেওয়া হচ্ছে। আর এবার এই অভিযোগ এত ব্যাপক আকারে এসেছে যে তা পাশ কাটানো সহজ ছিল না।
আগে গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল হয়তো অর্থবছরের শেষ তিন–চার মাসে দুই শ থেকে তিন শ টাকা বেশি আসত। কিন্তু এবার বিদ্যুতের বিল এত বেশি এসেছে যে তা রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল ১০ গুণ বেশি এসেছে।করোনার কারণে মিটার রিডাররা গ্রাহকের বাড়িতে যেতে পারেননি। যে কারণে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাসের বিদ্যুতের বিলের গড় হিসাব করে এ বছরের ওই তিন মাসের বিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। কিন্তু কাজটি না করে তারা বেআইনিভাবে বাড়তি বিল করার নির্দেশ দেয়। এমনকি কোন এলাকায় কত শতাংশ বাড়তি বিল হবে, সেটিও ঠিক করে দেয়। এভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের পকেট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার নজির নেই। এটি শুধু বেআইনি নয়, ভয়াবহ অন্যায়ও।আমরা জানতে পেরেছি, সর্বোচ্চ ৬১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি বিল নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ডিপিডিসির কর্মকর্তারা। বেআইনি এই নির্দেশের মাধ্যমে জনগণের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা লুট করে নেওয়া হয়েছে।একদিকে যেমন ভুতুড়ে বিলের মাধ্যমে গণলুণ্ঠন হয়েছে, অন্যদিকে রাষ্ট্রের আইন ভেঙেছেন প্রজাতন্ত্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ফলে তাঁরা ওই পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।

হাসিনা ও মোদি সরকারের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ: কাদের-দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন দৈনিকের এ খবরে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোনো দেশই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রেখে এগোতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার ও ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
এদিকে দৈনিক মানবজমিনে গ্লোবাল টাইমসের বরাত দিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের নিবন্ধ চীন-বাংলাদেশ নতুন অধ্যায়ের সূচনা-বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (বিআরআই) দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম সক্রিয়ভাবে সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহৎ জনগোষ্ঠী, একই রকম জাতীয় পরিস্থিতি, অভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্য এবং উচ্চ মাত্রায় ‘কমপ্লিমেন্টারি’ শিল্প নিয়ে চীন ও বাংলাদেশ উভয়েই উন্নয়নশীল দেশ। বেল্ট এন্ড রোড উদ্যোগ একত্রে গড়ে তোলার জন্য আমরা প্রাকৃতিক অংশীদার।
বন্যায় ৪৩ জনের মুত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৫৪ লাখ মানুষ-দৈনিক মানজমিন
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই ৩ দফায় হানা দিয়েছে বন্যা। এতে বাংলাদেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের অর্ধকোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। আজ মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান ও সমন্বয় কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
বাড়াতেই হবে টেস্ট, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, মমতাদের বললেন মোদী-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

সুস্থতার হার বাড়ছে। তবে মৃত্যুর হার ১ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে হবে। মঙ্গলবার ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা মোকাবিলায় একজোটে লড়াই চালিয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।বিভিন্ন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে যত সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত, তাঁদের ৮০ শতাংশই এই ১০ রাজ্যে রয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ১০ রাজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই ১০ রাজ্যে যদি করোনাকে হারানো যায়, তাহলেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই সফল হবে গোটা দেশের।’
বছর নষ্ট হবে না, ক্লাস, পরীক্ষা সবই হবে, জানিয়ে দিল শিক্ষা মন্ত্রক-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন/আজকাল
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, ২০২০–২১ ক্লাসও হবে। পরীক্ষাও হবে। ‘শূন্য শিক্ষাবর্ষ ঘোষণার কোনও সম্ভাবনাই নেই। স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।
করোনার জেরে লকডাউন শুরু হয় মার্চের শেষে। তারও আগে থেকে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। ফলে জল্পনা শুরু হয়, চলতি শিক্ষাবর্ষ বাতিলই করে দেবে কেন্দ্র। এই নিয়ে সোমবার মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি একটি বৈঠকে বসে। সেখানেই সাংসদরা কলেজে ভর্তি, ক্লাস, পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন। জবাবে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অমিত খারে জানালেন, কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা নভেম্বর–ডিসেম্বর নাগাদ ক্লাসে যোগ দেবেন। পরীক্ষা এবং ক্লাস করানোরও ব্যবস্থা থাকবে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১১