বেশিরভাগ ইসরাইলি তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন: হানিয়া
(last modified Fri, 23 Jun 2023 04:31:39 GMT )
জুন ২৩, ২০২৩ ১০:৩১ Asia/Dhaka

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, প্রতিরোধ-কমান্ডারদের হত্যার অভিযান চালিয়ে ইসরাইল কোনো কিছু অর্জন করতে পারবে না,  কারণ নতুন ফিলিস্তিনি নেতাদের আবির্ভাবের ফলে প্রতিরোধ চলতেই থাকবে। ইরানের প্রেসটিভিকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে (গতকাল বৃহস্পতিবার) এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ছাড়া ফিলিস্তিনি জাতির জন্য অন্য কোনো পথ খোলা নেই এবং দখলদার ইসরাইলি গোষ্ঠী গভীরভাবে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অধিকৃত অঞ্চলের বেশিরভাগ ইসরাইলি তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে হানিয়া জানান।

 অব্যাহত ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ যে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বা মনোবল জোরদার করছে ফিলিস্তিনি জাতি তা এরিমধ্যে প্রমাণ করেছে বলেও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফিলিস্তিনি জাতি ঐক্যবদ্ধ বলে হানিয়া উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি গাজার যুদ্ধে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইসলামী জিহাদকে হামাসের সামরিক শাখা সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে এবং এই যুদ্ধের সম্মুখ ফ্রন্টে হামাসের সেনারাও ছিল। 

হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান নেতা ইসমাইল  হানিয়া আরও বলেছেন, ১৯৮২ সালে ইসরাইল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে দখলদারিত্ব কায়েম করেছিল, আর এখন ইসরাইলি সেনারা গাজার সীমান্ত অতিক্রমের কিংবা ফিলিস্তিনি শহরগুলোর সড়কগুলোতে প্রতিরোধকামীদের উপস্থিতির কারণে এইসব শহরে প্রবেশের দুঃসাহসও দেখাতে পারছে না।  

ইসমাইল হানিয়া তেহরানে ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে হামাস নেতাদের সাম্প্রতিক যোগাযোগকে ফিলিস্তিনি জাতির প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে হামাসের সম্পর্ককে খুব ভালো বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গঠন জরুরি। 

ইসমাইল হানিয়া সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ে ইরানের কিংবদন্তীতুল্য কমান্ডার  শহীদ লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁকে ফিলিস্তিনের সমর্থক অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ও ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তোলার অন্যতম প্রধান নায়ক বলে অভিহিত করেন।

ইসমাইল হানিয়া ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চলমান প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এতে গোটা অঞ্চল লাভবান হবে এবং এর ফলে এরিমধ্যে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া থেমে গেছে বলে তিনি জানান। ইরান ও মিশরের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কেও তিনি বলেছেন, কায়রো ও তেহরানের স্বাভাবিক সম্পর্কেও গোটা অঞ্চল লাভবান হবে।  #   

পার্সটুডে/এমএএইচ/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ