স্থলযুদ্ধ শুরু হলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামবে ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা
হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ও জনবল যোগাবে ইরাকিরা, লেবাননের প্রতি আয়াতুল্লাহ সিস্তানির সমর্থন
ইরাকি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ঘোষণা করেছে যে তারা ইসরাইলি দখলদারদের সাথে লড়াইয়ে হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ও জনবল দিয়ে সাহায্য করবে।
ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ অক্ষের একজন সিনিয়র সদস্য বলেছেন যে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কিছু সমঝোতা হয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল ইহুদিবাদী শত্রুর সম্ভাব্য স্থল অভিযানের মোকাবেলায় লেবাননের হিজবুল্লাহর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সরাসরি যুদ্ধে প্রবেশ করবে ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
ওই সদস্য আরও বলেছেন যে ইরাক ও অথবা সিরিয়ার ভূখণ্ড থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনে ইসরাইলি অবস্থানগুলোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও কামানের গোলা বর্ষণ অব্যাহত থাকবে। গাজার মজলুম জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো গত কয়েক মাস ধরে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও কামানের গোলার হামলা চালিয় আসছে ইসরাইলি অবস্থানগুলোর ওপর। ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ জোটের মধ্যে রয়েছে পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট, কাতায়িব হিজবুল্লাহ বা হিজবুল্লাহ ব্রিগেড, হারাকাত হিজবুল্লাহ আন নুজাবাহ ও সাইয়্যেদুশ শুহাদা (ইমাম হুসাইন-আ.)ব্রিগেডসহ কয়েকটি সংগ্রামী দল ও গ্রুপ।
এদিকে ইরাকের শীর্ষস্থানীয় আলেম আয়াতুল্লাহ সিস্তানি লেবাননের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলা বন্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর ও অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লেবাননের প্রতি নিজের সংহতির কথাও ঘোষণা করেছেন।
গতকাল সোমবার লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের গ্রাম ও শহরগুলোতে বেসামরিক নানা অবস্থানের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের পৈশাচিক বিমান হামলায় অন্তত ৪৯২ জন শহীদ হয়েছেন। জবাবে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে শত শত রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলের সোমবারের আগ্রাসনের আগে লেবাননের হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইলের ভয়াবহ সাইবার সন্ত্রাসী হামলাসহ হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারের ওপর ইসরাইলি হামলার জবাবে। ইসরাইলের ওইসব হামলায় হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার শহীদ হন এবং বেতার যোগাযোগের যন্ত্র পেজারে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইসরাইল শহীদ করে লেবাননের হিজবুল্লাহর কয়েকজন সদস্যসহ সর্বস্তরের বেসামরিক জনগণের অন্তত ৫০ জনকে, আহত হয় প্রায় চার হাজার। সোমবারে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টা হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে প্রায় তিন লাখ ইসরাইলি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ছুটে গিয়েছিল।##
পার্সটুডে/এমএএইচ/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন