এক লাখ মানুষকে মানব-ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে দায়েশ: জাতিসংঘ
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i40340-এক_লাখ_মানুষকে_মানব_ঢাল_হিসেবে_ব্যবহার_করছে_দায়েশ_জাতিসংঘ
জাতিসংঘ বলেছে, ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরে সেনা অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়া উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ সম্ভবত প্রায় এক লাখ বেসামরিক মানুষকে মানব-ঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য আটকে রেখেছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুন ১৭, ২০১৭ ০৬:২৮ Asia/Dhaka
  • দায়েশের হাত থেকে পালিয়ে আসার সময় পরিবারের কোনো না কোনো সদস্যকে হারাচ্ছে ইরাকি পরিবারগুলো
    দায়েশের হাত থেকে পালিয়ে আসার সময় পরিবারের কোনো না কোনো সদস্যকে হারাচ্ছে ইরাকি পরিবারগুলো

জাতিসংঘ বলেছে, ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরে সেনা অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়া উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ সম্ভবত প্রায় এক লাখ বেসামরিক মানুষকে মানব-ঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য আটকে রেখেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের ইরাক বিষয়ক প্রতিনিধি ব্রোনো গেদো এ খবর জানিয়ে বলেছেন, মসুলের পুরনো অংশে এখনো দায়েশ যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে সেসব এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।  সেখানকার অধিবাসীরা খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী অভাবে ভুগছেন।  তিনি ইরাকি সেনাবাহিনী ও দায়েশের মধ্যকার যুদ্ধে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপারে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।

ইরাকি সেনাবাহিনী প্রায় আট মাস আগে দায়েশের হাত থেকে মসুল মুক্ত করার অভিযান শুরু করে। এরইমধ্যে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেও শহরের পুরনো অংশের ক্ষুদ্র একটি এলাকায় দায়েশ জঙ্গিরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের ইরাক বিষয়ক প্রতিনিধি শুক্রবার বলেন, ইরাকি সেনা অভিযানের মুখে পিছু হটে যাওয়ার সময় দায়েশ জঙ্গিরা হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে জোর করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে তারা খবর পেয়েছেন। তিনি বলেন, এর অর্থ হচ্ছে, তারা এসব মানুষকে যুদ্ধের সময় মানব-ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবে।  মসুল শহরের বেসামরিক নাগরিকদের অবস্থাকে ‘অত্যন্ত ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেন গেদো।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, মসুলের পুরনো অংশে চলমান যুদ্ধের মধ্যে যেসব বেসামরিক নাগরিক পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদেরকে রাস্তায় গুলি করে হত্যা করছে দায়েশের স্নাইপাররা।

মসুলের চলমান যুদ্ধে এই নগরীর অন্তত আট লাখ মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছেন। তবে দায়েশের হাত থেকে মুক্ত এলাকাগুলোর দুই লাখ অধিবাসী এরইমধ্যে তাদের ঘর-বাড়িতে ফিরে গেছেন। বাকি শরণার্থীরা জাতিসংঘের পক্ষ থেকে স্থাপিত শিবিরগুলোর পাশাপাশি অনেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন।#

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/১৭