সৌদি বিরোধী কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বাইডেন: বাড়ছে সামরিক সহযোগিতা
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i94318-সৌদি_বিরোধী_কঠোর_অবস্থান_থেকে_সরে_এসেছেন_বাইডেন_বাড়ছে_সামরিক_সহযোগিতা
সৌদি আরবের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালেদ বিন সালমান ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর তিনি হচ্ছেন শীর্ষ কোন সৌদি কর্মকর্তা যিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হলেন। সৌদি উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী এর আগে মার্কিন সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল মার্ক মাইলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লুইদ অস্টিন এবং দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিওয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ০৮, ২০২১ ১৬:৩৬ Asia/Dhaka

সৌদি আরবের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালেদ বিন সালমান ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর তিনি হচ্ছেন শীর্ষ কোন সৌদি কর্মকর্তা যিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হলেন। সৌদি উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী এর আগে মার্কিন সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল মার্ক মাইলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লুইদ অস্টিন এবং দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিওয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি সৌদি উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ওয়াশিংটন সফরের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, 'এই কর্মকর্তা মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সৌদি আরবের প্রতি মার্কিন সরকারের সাহায্য-সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়ে কথাবার্তা বলেছেন।' হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র আরো বলেন, 'এসব সাক্ষাতে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সৌদি আরবের প্রতি মার্কিন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যকার সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের এবং রিয়াদের ব্যাপারে আরও কঠোর হওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা থেকে তিনি সরে এসেছেন। পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ ধরে রাখার জন্যই সৌদি আরবের ব্যাপারে বাইডেন তার নীতিতে পরিবর্তন এনেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ওয়াশিংটন-রিয়াদ সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু এখন এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এ অঞ্চলে তাদের অন্যতম প্রধান মিত্র হিসেবে সৌদি আরবের প্রতি প্রতিরক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে মার্কিন সাহায্য ও সমর্থন অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পেন্টাগন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার অন্য শীর্ষ কর্মকর্তারা সৌদি ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানালেও এখন তারা ওই হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক অর্থাৎ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন দেয়ার নীতিতে অটল রয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সৌদি আরবের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই নীতি থেকে মানবাধিকারের ব্যাপারে তার দ্বিমুখী চরিত্রের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। কেননা ইয়েমেনে সৌদি বর্বরোচিত আগ্রাসন অব্যাহত থাকার কারণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন আপাতত সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করলেও প্রকৃতপক্ষে ওয়াশিংটন এই নীতিতে আর অটল থাকতে পারেনি। সৌদি আরবে ইয়েমেনি যোদ্ধাদের পাল্টা হামলার অজুহাতে বাইডেন সরকার সৌদি আরবকে আরো বেশি সামরিক সহায়তা দেয়া অব্যাহত রেখেছে।

বাস্তবতা হচ্ছে, মার্কিন সরকার সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান থেকে আস্তে করে এমন সময় পিছিয়ে এসেছে যখন বাইডেন সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন তেল কেনা এবং অস্ত্র বিক্রির নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই সরে আসতে পারে না। যাইহোক বর্তমানে সৌদি সরকার ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে অজুহাত করে এবং ইরানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দাঁড় করিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও বেশি সামরিক সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে। মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক কালাম কুইন এক নিবন্ধ লিখেছেন, 'সৌদি উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নীরবে যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে বোঝা যায় হোয়াইট হাউজের কর্তাব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারণার সময় সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা যেন তারা ভুলে গেছেন।'#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।