ডুরান্ট লাইন নিয়ে সীমান্ত উত্তেজনা; নিজের অবস্থান জানাল তালেবান
https://parstoday.ir/bn/news/world-i102448-ডুরান্ট_লাইন_নিয়ে_সীমান্ত_উত্তেজনা_নিজের_অবস্থান_জানাল_তালেবান
পাকিস্তানের সঙ্গে ডুরান্ট লাইন নিয়ে উত্তেজনার জের ধরে এ সম্পর্কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালেবান সরকার। পাকিস্তানে তালেবানের বিশেষ প্রতিনিধি আহমাদ খান শাকিব বলেছেন, ডুরান্ট লাইন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তালেবান সরকারের নেই।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ১৩, ২০২২ ০৮:২০ Asia/Dhaka
  • ডুরান্ট লাইন থেকে কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে ফেলছে তালেবান সীমান্তরক্ষীরা (সাম্প্রতিক ছবি)
    ডুরান্ট লাইন থেকে কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে ফেলছে তালেবান সীমান্তরক্ষীরা (সাম্প্রতিক ছবি)

পাকিস্তানের সঙ্গে ডুরান্ট লাইন নিয়ে উত্তেজনার জের ধরে এ সম্পর্কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালেবান সরকার। পাকিস্তানে তালেবানের বিশেষ প্রতিনিধি আহমাদ খান শাকিব বলেছেন, ডুরান্ট লাইন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তালেবান সরকারের নেই।

আহমাদ খান শাকিবের বরাত দিয়ে আফগানিস্তানের বার্তা সংস্থা আওয়া জানিয়েছে, “তালেবান প্রশাসন বা এই গোষ্ঠীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাকী ডুরান্ট লাইনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখে না।” তিনি এমন সময় এ বক্তব্য দিলেন যখন সাম্প্রতিক সময়ে ডুরান্ট লাইন বরাবর পাকিস্তান ও তালেবান সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে উত্তেজনা এমনকি গুলি বিনিময়ও হয়েছে।

কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ডুরান্ট লাইনে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজে পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষীদের বাধা দিচ্ছে তালেবান সেনারা এবং তারা কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে ফেলছে।

ডুরান্ট লাইনের ৯০ শতাংশ এলাকায় এভাবে বেড়া দিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান

পাকিস্তান ২০১৭ সাল থেকে ডুরান্ট লাইন বরাবর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করে। আফগানিস্তানের তৎকালীন আশরাফ গনি সরকার ওই বেড়া নির্মাণের বিরোধিতা করলেও কখনও পাকিস্তানকে এ কাজে বাধা দেয়নি। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে গনি সরকারের পতন পর্যন্ত বেড়া নির্মাণের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত বিভক্তকারী রেখাকে বলা হয় ডুরান্ড লাইন। ১৮৯৩ সালে তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আফগানিস্তানের তৎকালীন শাসক আব্দুর রহমান খানের সঙ্গে এক চুক্তি সই করে।ওই চুক্তিতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার বর্তমান বিভক্তরেখা নির্ধারণ করা হয় যার নাম হয় ডুরান্ট লাইন। কিন্তু ওই চুক্তির কোনো সময়সীমা ছিল না বলে এই লাইনটি এখন পর্যন্ত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার স্থায়ী সীমান্ত হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। পাকিস্তান এটিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তে পরিণত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করলেও দৃশ্যত আফগানিস্তানের পক্ষে এই উদ্যোগ মেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।