মানবাধিকারের লেবাসধারী জার্মানির মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস বড়ই নেতিবাচক
https://parstoday.ir/bn/news/world-i116408-মানবাধিকারের_লেবাসধারী_জার্মানির_মানবাধিকার_লঙ্ঘনের_ইতিহাস_বড়ই_নেতিবাচক
জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসাবে আমেরিকার সঙ্গে মিলে ইরানে সাম্প্রতিক নৈরাজ্য ও অস্থিরতার ইস্যুতে তেহরানের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক এবং হস্তক্ষেপমূলক নীতি গ্রহণ করেছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
নভেম্বর ২৬, ২০২২ ১৮:৪০ Asia/Dhaka

জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসাবে আমেরিকার সঙ্গে মিলে ইরানে সাম্প্রতিক নৈরাজ্য ও অস্থিরতার ইস্যুতে তেহরানের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক এবং হস্তক্ষেপমূলক নীতি গ্রহণ করেছে।

ইরানে সম্প্রতি বিদেশি মদদপুষ্ট যে সহিংসতা চলছে তাতে ইরান মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে-এই অভিযোগ তুলে জার্মানির অনুরোধে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অথচ বার্লিনের মানবাধিকার রেকর্ডের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে এ ক্ষেত্রে তাদের অনেক নেতিবাচক ইতিহাস রয়েছে।   

এই বৈঠকে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রোপাগান্ডা যুদ্ধ চালিয়েছে এবং অনেক ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বেয়ারবক দাবি করেছেন: আমরা ইরানকে অনেক ক্ষেত্রে দমনমূলক পদক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছি, কিন্তু  দিনদিন তা আরও বেড়েছে। একইভাব জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ তার অফিসিয়াল টুইটার বার্তায় ইরানের সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন: "আমাদের অবশ্যই (ইরানে) মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে এবং এ বিষয়ে কাজ করতে হবে।"

ঊর্ধ্বতন জার্মান কর্মকর্তারা যেমন চ্যাঞ্চেলর এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। অথচ দেশটির কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এবং স্বজ্ঞানে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল পরিমাণ উপকরণ এবং সরঞ্জাম ইরাকের সাবেক বাথ সরকারকে সরবরাহ করেছিলেন। এর মাধ্যমে তেহরানের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেয়া আট বছরের যুদ্ধে সাদ্দামের বাথ সরকার ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে বর্বরোচিত যুদ্ধাপরাধসহ ইরাকি কুর্দিদের বিরুদ্ধেও বড় ধরনের  মানবিক বিপর্যয় ঘটানোর সুযোগ পায়। এটি এমন একটি বিষয় যা ইরানি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। আরোপিত যুদ্ধে ইরাক পরীক্ষামূলক, সীমিত, ব্যাপক-বিস্তৃত আক্রমণ সহ মোট ৫৮২টি রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে। বর্বরোচিত এসব হামলার ফলে ১০ হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হওয়ার পাশাপাশি প্রায় এক লাখ লোক আহত হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় এ প্রসঙ্গে ইরানের প্রতিনিধি খাদিজা কারিমি বলেছেন, রাসায়নিক অস্ত্র নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং সরঞ্জামের বৃহত্তম সরবরাহকারী ছিল জার্মানি। আরোপিত যুদ্ধে ইরাকের বাথ সরকার এসব রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ফলে বিপুল সংখ্যক ইরানি শহীদ হয় এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়।  

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান তার টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ইরানী জনগণ এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাদ্দামের রাসায়নিক অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী হিসাবে বার্লিন সরকার তাদের অন্যায় ও অমানবিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে  ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এখন তারা তারা আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আরও মানবাধিকার বিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য "মানবাধিকারের" পদ্ধতির অপব্যবহার করছে এবং এসব করছে ইরানীদের সাথে মিথ্যা "সংহতির" নামে।#

 

পার্সটুডে/ বাবুল আখতার /২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।