ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতা কি ইউরোজোনকে প্রভাবিত করবে?
-
ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সোয়া বেরু
পার্সটুডে-অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটের তীব্র চাপের মধ্যে থাকা ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ইতালির বিরুদ্ধে ফরাসি কোটিপতিদের প্ররোচিত করার অভিযোগ এনেছেন।
জার্মান ম্যাগাজিন ফোকাস ইতালি ও ফ্রান্সের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কর বিরোধ এবং দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে রিপোর্ট করেছে। পার্সটুডে জানায়, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটের তীব্র চাপের মধ্যে থাকা ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সোয়া বেরু ইতালির বিরুদ্ধে ফরাসি কোটিপতিদের প্রলুব্ধ করা এবং কম করের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের আকৃষ্ট করার অভিযোগ করেছেন।
এক সাক্ষাৎকারে বেরু কর ফাঁকি নীতি নিয়ে কথা বলেছেন এবং ফ্রান্সে ক্রমবর্ধমান আর্থিক অভিবাসন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি তার দেশের বিরুদ্ধে ফরাসি সরকারের অভিযোগের বিষয়ে গভীর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এবং এগুলোকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি দাবি করেন যে ইতালির অর্থনীতি আকর্ষণীয় এবং স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার কারণে দেশটি অন্যদের তুলনায় ভাল করছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এই বিতর্ক রোম এবং প্যারিসের মধ্যে ইতিমধ্যে সম্পর্ককে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। রোমে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং জর্জিয়া মেলনির মধ্যে পূর্ববর্তী সমঝোতা বৈঠকের কয়েক সপ্তাহ পর সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে যদিও ফ্রান্স পুরোপুরি দেউলিয়া নয়, তবে তার আর্থিক পরিস্থিতি ভঙ্গুরপ্রায়। ফ্রান্সের ১০ বছরের ঋণের সুদের হার ৩.৫ শতাংশ, যা ইতালির চেয়ে সামান্য কম।
কিন্তু ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের ভবিষ্যৎ পরীক্ষা করার জন্য ৮ সেপ্টেম্বর সংসদে আস্থা ভোটের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি যুক্তি দেন যে ফরাসি অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক অস্থিরতা পুনরুজ্জীবিত করতে পারে এবং গভীর অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা তৈরি করতে পারে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড সোমবার ফ্রান্সের সরকারের পতনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ইউরোজোনের যে কোন দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বাজারকে প্রভাবিত করবে। তিনি বলেন, ফ্রান্স বর্তমানে এমন পরিস্থিতিতে নেই যেখানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হবে, তবে এ অঞ্চলে সরকার পতনের ঝুঁকি "উদ্বেগজনক"।#
পার্সটুডে/এনএম/৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।