ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হতে দেবে না পাকিস্তান; বিদেশি পণ্যের ব্যবহার বন্ধের ডাক নরেন্দ্র মোদির
-
শাফকাত আলী খান
পার্সটুডে- পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলী খান বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান আমাদের ভাই। প্রতিবেশী এই দেশের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামাবাদের পররাষ্ট্রনীতির স্থায়ী ভিত্তিগুলোর একটি।
ইরানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের ওপর পাকিস্তানের গুরুত্বারোপের খবরের পাশাপাশি পার্সটুডের এই প্রতিবেদনে আরও কিছু বিষয় স্থান পেয়েছে, সেগুলো হলো- বাংলাদেশের আলেমদের কাবুল সফর, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতীয় ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান সংক্রান্ত খবর।
ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর জোর দিচ্ছে পাকিস্তান
ইসলামাবাদে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলী খান বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, অংশীদার, ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ, প্রতিবেশী এবং অঞ্চলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। তিনি বলেন, আমরা শতাব্দী-প্রাচীন এই সম্পর্ক অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর, আর এই সম্পর্ক ইসলামাবাদের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম স্থায়ী ভিত্তি। মুখপাত্র আরও বলেন, পাকিস্তান আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে এবং উত্তেজনা কমাতে ভূমিকা রেখে যাবে।
বাংলাদেশের আলেমদের কাবুল সফর; আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মানবাধিকার ও ধর্মীয় সহযোগিতা
বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলেমদের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল তালেবানের আমন্ত্রণে কাবুলে সফরে রয়েছেন। তারা মানবাধিকার ও ধর্মীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করছেন। সাতজন আলেমের সমন্বয়ে গঠিত এই প্রতিনিধি দল তালেবান সরকারের প্রধান বিচারপতি, কয়েকজন মন্ত্রী, শীর্ষ আলেম এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে এর আগেই জানানো হয়েছে। সফরের উদ্দেশ্য হলো ধর্মীয় ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা, মানবাধিকার ও নারীর অধিকার পর্যালোচনা করা এবং বাণিজ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ভারত ও আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনের অবকাশে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে কথা রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বাড়ার পর এটিই তাদের প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এবারের বৈঠক ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক উন্নয়ন ও শক্তিশালী করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। এর আগে ২০২৫ সালে জানুয়ারি ও জুলাই মাসে তারা ওয়াশিংটনে কোয়াড পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দু’বার সাক্ষাৎ করেছিলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী: বিদেশি পণ্য বর্জন করুন
রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন বিদেশি পণ্য ব্যবহার বন্ধ করে দেশীয় উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন যে পণ্যগুলো ব্যবহার করি, তার বেশিরভাগই বিদেশে তৈরি, অথচ আমরা তা সচেতনভাবে বুঝতে পারি না। আমাদের উচিত এসব পণ্য বর্জন করা। তিনি ব্যবসায়ীদেরকে বলেছেন, তারা যেন দেশীয় পণ্য বিক্রিতে জোর দেন, কারণ এতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে। মোদির এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন এবং দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।#
পার্সটুডে/এসএ/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।