মার্কিন মিডিয়ার স্বীকারোক্তি
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের অতি গুরুত্বপূর্ণ গোপন সামরিক কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছিল
-
ইসরায়েলিদের গোপন কেন্দ্রে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান
পার্সটুডে- একটি পশ্চিমা সংবাদ সংস্থার ওয়েব সাইট এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইরান তেল আবিবের উত্তরে অবস্থিত একটি সামরিক কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল; এটি এমন এক কেন্দ্র যা মার্কিন সেনাবাহিনীর সাথে যৌথভাবে পরিচালিত হত এবং এটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার কেন্দ্রস্থলে গোপন স্থানে ছিল।
স্ট্যানফোর্ড এবং জর্জিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং প্রাক্তন অধ্যাপক জ্যাক পলসনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান "দ্য গ্রে জোন" জানিয়েছে যে, ইরান ১৩ জুন, ২০২৫ তারিখে "লোকেশন ৮১" নামে পরিচিত কেন্দ্রটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল।
ইরনার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী ইসরায়েলের মধ্যে একটি যৌথ কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত এই ভবনটি উত্তর তেল আবিবের দা ভিঞ্চি আবাসিক টাওয়ারের নীচে অবস্থিত, যা শিশুদের খেলার মাঠের মতো বেসামরিক সুবিধা থেকে মাত্র কয়েকশ মিটার দূরে অবস্থিত। হামলার পর, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এলাকাটিকে কঠোরভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখে এবং যেকোনো মিডিয়া কভারেজ নিষিদ্ধ করে। এমনকি ফক্স নিউজের একজন প্রতিবেদককেও ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।
ফাঁস হওয়া নথি এবং ইমেইলের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, সামরিক উদ্দেশ্যে বেসামরিক অবকাঠামো ব্যবহার করে এই কেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহারের ইসরায়েলি দ্বৈত নীতির একটি উদাহরণ।
গবেষণা থেকে জানা যায় যে, ২০১১ সাল থেকে আমেরিকান কোম্পানিগুলি এই কেন্দ্রের নকশা ও নির্মাণে জড়িত এবং এই স্থানে মার্কিন ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা ও সাইবার সহযোগিতা রয়েছে।
"গ্রে জোন" আরো জানিয়েছে, এই স্থাপনায় ইরানের আক্রমণ তেল আবিবের গোপন সামরিক নেটওয়ার্কের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচিত করেছে এবং আবারও প্রমাণ করেছে যে ইসরায়েল বেসামরিক কাঠামোর আড়ালে তার সামরিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২৫ সালের ১৩ জুন শুক্রবার ভোরে, তেহরান এবং ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে ইসরায়েলের সন্ত্রাসী হামলার পর বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিক শহীদ হন। ইসরায়েল এই অপরাধের পর, ইরানি জাতির উদ্দেশ্যে এক বার্তায় ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা বলেন: ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। #
পার্সটুডে/এমআরএইচ/১৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।