ট্রাম্পের ইরান বিরোধী বক্তব্য: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/event-i153004-ট্রাম্পের_ইরান_বিরোধী_বক্তব্য_পররাষ্ট্র_মন্ত্রণালয়ের_প্রতিক্রিয়া
পার্সটুডে-গত সোমবার গণহত্যাকারী অপরাধীদের উপস্থিতিতে ইসরাইলি সংসদ নেসেটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বক্তব্য রাখেন।
(last modified 2025-10-14T12:05:02+00:00 )
অক্টোবর ১৪, ২০২৫ ১৮:০২ Asia/Dhaka
  • ট্রাম্পের ইরান বিরোধী বক্তব্য: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া
    ট্রাম্পের ইরান বিরোধী বক্তব্য: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া

পার্সটুডে-গত সোমবার গণহত্যাকারী অপরাধীদের উপস্থিতিতে ইসরাইলি সংসদ নেসেটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বক্তব্য রাখেন।

ওই বক্তৃতায় ট্রাম্প ইরান সম্পর্কে ভিত্তিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগ ও লজ্জাজনক দাবি তোলেন। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেইসব ভিত্তিহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসবাদীদের দোসর ইহুদিবাদী ইসরাইলের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অন্যকে দোষারোপ করার নৈতিক যোগ্যতা যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

ইরানের জনগণ ইরান ও এ অঞ্চলের চিরন্তন নায়ক শহীদ হাজ কাসেম সোলাইমানির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায়, যিনি আমেরিকার তৈরি আইএসআইএস সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেই মহান ব্যক্তি এবং তার সহযোগীদের হত্যার মতো আমেরিকার নৃশংস অপরাধকে ইরানের জনগণ কখনই ক্ষমা করবেন না বা ভুলবে না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে যে ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে মিথ্যা দাবির পুনরাবৃত্তি করে, ইরানের পবিত্র ভূমিতে হামলা চালানো কিংবা ইরানি সন্তানদের হত্যা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল তাদের যৌথ অপরাধকে ন্যায়সঙ্গত বলে দাবী করতে পারে না। এই অপরাধের জন্য আমেরিকার দায়বদ্ধতার বোঝা আরও ভারী করে তোলে এবং ইরানের মহান জনগণের প্রতি আমেরিকা রাজনীতিবিদদের শত্রুতার গভীরতাই তুলে ধরে।ইসরাইলি গণহত্যা ও যুদ্ধবিরতির সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ কারও কাছেই গোপন নয়, ইসরাইলি অবমাননার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এবং ইসরাইলি অপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়ায় কাজ করা।

এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপমূলক নীতি, ইসরাইলি আধিপত্য ও নৃশংসতাকে সমর্থন করা এবং সীমাহীন অস্ত্র বিক্রির ফলে আমেরিকা এ অঞ্চলে অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতার সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতা ও অপরাধমূলক আচরণের বিপরীতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তি ও আলোচনার ইচ্ছাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে। রাজনৈতিক আলোচনার মাঝামাঝি সময়ে কীভাবে একটি দেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর আবাসিক এলাকায় হামলা চালানো সম্ভব হয়, নারী ও শিশুসহ এক হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয় এবং তারপর শান্তি ও বন্ধুত্বের দাবি করা হয়?

ইরানিরা তাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে যুক্তি, আলোচনা এবং মিথস্ক্রিয়া করে। একই সাথে ইরানের স্বাধীনতা, জাতীয় মর্যাদা এবং সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষার জন্য সাহসী ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করে।#

পার্সটুডে/এনএম/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।