ইসরায়েলের বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার স্বপ্ন শেষ
ক্রীড়াঙ্গনে ইসরায়েলের প্রতি বিশ্বব্যাপী প্রত্যাখ্যানের জোয়ার
-
একজন ইসরায়েলি ক্রীড়াবিদ
পার্স টুডে - ক্রীড়া সালিসি আদালত ইসরায়েলের আপিল খারিজ করে দেয়ার পর এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলোয় এর অংশ নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চূড়ান্ত করায় ইহুদিবাদীরা শোকাহত ও হতবাক।
মঙ্গলবার জাকার্তা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ইসরায়েলি জিমন্যাস্টদের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট (সিএএস) তথা ক্রীড়া সালিসি আদালত।
এই রায়ের পর ক্ষোভের সাথে ইহুদিবাদী বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্টিওম ডলগোপিয়াত বলেন, "আমি খুবই মর্মাহত এবং দুঃখিত।" এমন সময় ইসরায়েলি এ ক্রীড়াবিদ নিজেকে মজলুম বা নির্যাতনের শিকার দেখাচ্ছেন যখন গাজার বিরুদ্ধে ২৪ মাসের যুদ্ধের সময় ইহুদিবাদী ইসরায়েল ৯৫০ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদকে গণহত্যার শিকার করেছে এবং সমস্ত আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আইন লঙ্ঘন করেছে।
এর আগে, বিশ্ব জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক ইন্দোনেশিয়ান সরকার ফিলিস্তিনের সমর্থনে ব্যাপক জনবিক্ষোভের মধ্যে সাতজন ইসরায়েলি ক্রীড়াবিদের ভিসা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই বড় ক্রীড়া ধাক্কার পর, ইহুদিবাদীরা CAS আদালতে আপিল করে, কিন্তু আদালত ইসরায়েলের মামলা খারিজ করে দেয়।
টোকিও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন দাবি করেন যে এটি "ইন্দোনেশিয়ান সরকারের একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ", কিন্তু বিশ্ব প্রতিযোগিতা এবং বিশ্ব ক্রীড়া সংস্থার নিয়ম অনুসারে, গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সরকারের ক্রীড়াবিদদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অবাধে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া উচিত নয়।
ইসরায়েলের সাইট ওয়ানের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সিএএস আদালত ইসরায়েলি ক্রীড়াঙ্গনের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছে এবং এই ঐতিহাসিক নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলি ক্রীড়াঙ্গনের ভবিষ্যৎকে অন্ধকার করে দিতে পারে।
ইসরায়েলি জাতীয় সঙ্গীতকে বিদ্রুপ; ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার স্বপ্ন শেষ
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ইতালি সফররত ইহুদিবাদী ইসরায়েলি ফুটবল দল ম্যাচ খেলতে গেলে ম্যাচ শুরুর আগে স্টেডিয়ামের দর্শকরা ইসরায়েলি জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে হৈ-চৈ করে ধ্বনি দিয়েছে যদিও উপস্থিত ছিলেন বেশ সীমিত সংখ্যক দর্শক। উদিনে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ২৬,০০০ জন, কিন্তু ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ইতালীয় বিক্ষোভের পটভূমিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উয়েফা মাত্র ১০% দর্শককে খেলাটি সরাসরি দেখার অনুমতি দেয়।
এই খেলায় ইতালি ৩-০ গোলে জয়লাভ করে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এক সিদ্ধান্তমূলক জয়লাভ করে, যার ফলে ইসরায়েলের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।
রাই স্পোর্ট নেটওয়ার্ক লিখেছে: গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ইউরোপের জনগণের কাছে শাসকগোষ্ঠীর ফুটবল দলকে ঘৃণার পাত্র করে তুলেছে। গাজ্জেটা ডেলো স্পোর্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মোসাদ এজেন্ট এবং ইতালীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে সবচেয়ে নিরাপদ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।কিন্তু ১০,০০০ ইতালীয় স্টেডিয়ামের বাইরের রাস্তায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বিশ্বকে তাদের বার্তা পৌঁছে দেয়।#
পার্স টুডে/এমএএইচ/১৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।