ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা অটুট থাকবে; মাদ্রিদকে হুমকি দিলেন ট্রাম্প
-
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ
পার্সটুডে- স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও তার সরকার ইসরায়েলের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে না।
পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানচেজ বলেন- “আমরা এখন যুদ্ধবিরতির পর্যায়ে আছি, কিন্তু এখনও প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই সুযোগে স্পেন ও ইউরোপকে নিজেদের আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে এবং জাতিসংঘের সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তির পথে অবদান রাখতে হবে।” তিনি আরও বলেন, মাদ্রিদ আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী মিশনের অংশ হিসেবে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত।
গত সপ্তাহে স্পেনের সংসদ একটি আইন পাস করেছে যা ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।
গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে স্পেনজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট ও বিক্ষোভ
স্পেনের বৃহৎ শ্রমিক ও ছাত্র সংগঠনগুলোর আহ্বানে বুধবার সারা দেশে দুই শতাধিক স্থানে বিশাল বিক্ষোভ ও সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়েছে।
দশ হাজারেরও বেশি মানুষ গাজার জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে পতাকা ও ব্যানার হাতে রাস্তায় নেমে আসে।
প্রতিবাদকারীরা ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সামরিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা বন্ধের দাবি জানান এবং তারা সরকারকে বলেন, “ফিলিস্তিন ও গাজার পক্ষে আরও কার্যকর ও সাহসী অবস্থান” নিতে হবে।
গাজামুখী নৌবহরে ইসরায়েলি হামলা ও তাতে থাকা কর্মীদের আটক করা নিয়ে স্পেনজুড়ে জনরোষ তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ট্রাম্পের হুমকি: ন্যাটো ব্যয় না বাড়ালে স্পেনের ওপর শুল্ক আরো বাড়বে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, স্পেন যদি ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির শর্ত না মানে, তবে তার দেশের বিরুদ্ধে দণ্ডমূলক শুল্ক আরোপ করা হবে।
বুধবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, “স্পেন একমাত্র দেশ, যে এখনো সামরিক ব্যয় মোট দেশজ উৎপাদনের ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায়নি। এটি ন্যাটোর প্রতি এক প্রকার অগ্রহণযোগ্য অসম্মান।” তিনি আরও বলেন, “আমি স্পেনের ওপর অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।” এর আগে স্পেন সরকার বলেছে, বাজেট কাঠামো অনুযায়ী এই ব্যয় বৃদ্ধি করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
স্পেনের পাল্টা সতর্কতা: “শুল্ক বসালে ক্ষতি হবে যুক্তরাষ্ট্রেরই”
মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুমকির পর স্পেন সরকার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, শুল্ক আরোপ করা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদেরই ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে।
স্পেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইওলান্দা দিয়াজ সংসদে বলেন, “আমেরিকার সঙ্গে স্পেনের বাণিজ্য ভারসাম্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে, অর্থাৎ এমন পদক্ষেপ শেষ পর্যন্ত আমেরিকার জনগণের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হবে।”#
পার্সটুডে/এসএ/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।