ট্রাম্প কীভাবে কানাডার সঙ্গে সম্পর্ককে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেন?
https://parstoday.ir/bn/news/world-i153400-ট্রাম্প_কীভাবে_কানাডার_সঙ্গে_সম্পর্ককে_চ্যালেঞ্জের_মুখে_ফেললেন
পার্সটুডে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা হঠাৎ স্থগিত করে এবং গণমাধ্যমে অভিযোগের ঝড় তুলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে এক নতুন স্তরের উত্তেজনায় পৌঁছে দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপগুলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে 'অপমানজনক আচরণ' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
(last modified 2025-10-26T05:03:31+00:00 )
অক্টোবর ২৬, ২০২৫ ১০:৫৮ Asia/Dhaka
  • মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি

পার্সটুডে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা হঠাৎ স্থগিত করে এবং গণমাধ্যমে অভিযোগের ঝড় তুলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে এক নতুন স্তরের উত্তেজনায় পৌঁছে দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপগুলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে 'অপমানজনক আচরণ' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

২০২৫ সালের ২৩ অক্টোবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, তিনি কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কানাডা 'অগ্রহণযোগ্য আচরণ' করেছে।

ইউরোনিউজ–এর উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ ছিল কানাডার অন্টারিও প্রদেশে প্রচারিত একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের শুল্কবিরোধী বক্তব্য পুনঃপ্রচার করা হয়েছিল। ট্রাম্প দাবি করেন, বিজ্ঞাপনটি 'ভুয়া' এবং যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে 'হস্তক্ষেপের চেষ্টা'।

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম “ট্রুথ সোশ্যাল”–এ লিখেছেন, কানাডা এই বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে চাইছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শুল্কনীতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর কানাডার এমন আচরণ 'অসহনীয়'।

এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক করেছিলেন।

দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করে বাণিজ্যিক আলোচনা বাতিল করা হয়েছে, যা গণমাধ্যমগুলো 'অপমানজনক ও উত্তেজনাপূর্ণ পদক্ষেপ' হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে ট্রাম্পের অপমানজনক আচরণ কেবল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

হোয়াইট হাউসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প দু’বার বলেন, “কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সংযুক্তি (merger) ঘটতে পারে।” পরে তিনি দাবি করেন, “আমি শুধু মজা করছিলাম।

কিন্তু এই ধরনের মন্তব্য, এমন এক আনুষ্ঠানিক ও সংবেদনশীল পরিবেশে, অনেক গণমাধ্যম ও বিশ্লেষকের কাছে 'অপেশাদার ও অবমাননাকর রসিকতা' হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

এর আগেও, ট্রাম্প সাবেক কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে এক বৈঠকে রসিকতার সুরে বলেছিলেন: "যদি কানাডা সীমান্ত সমস্যা ও বাণিজ্য ঘাটতি সমাধান করতে না পারে, তবে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাবে, আর ট্রুডো হবে তার গভর্নর।

ট্রুডোর শুল্কনীতির প্রভাব নিয়ে সতর্কবার্তার জবাবে ট্রাম্পের এই মন্তব্যকেও বহু গণমাধ্যম 'অপমানজনক ও অগ্রহণযোগ্য রসিকতা' হিসেবে উল্লেখ করেছে।#

পার্সটুডে/এমএআর/২৬