পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে বেড়েছে ইসলামোফোবিয়া: ইউরোপে বৈষম্য, আমেরিকায় হুমকি
https://parstoday.ir/bn/news/world-i154160-পাশ্চাত্যের_বিভিন্ন_দেশে_বেড়েছে_ইসলামোফোবিয়া_ইউরোপে_বৈষম্য_আমেরিকায়_হুমকি
পার্সটুডে- ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি ঘোষণা করেছে, ২০২৪ সালে ইসলামভীতি ছড়ানোর ঘটনার দিক থেকে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, এর পরের অবস্থানটাই ইউরোপের।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
নভেম্বর ১৭, ২০২৫ ২০:৩৬ Asia/Dhaka
  • পাশ্চাত্যে ইসলামোফোবিয়া বেড়েছে: ইউরোপে বৈষম্য, আমেরিকায় হুমকি
    পাশ্চাত্যে ইসলামোফোবিয়া বেড়েছে: ইউরোপে বৈষম্য, আমেরিকায় হুমকি

পার্সটুডে- ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি ঘোষণা করেছে, ২০২৪ সালে ইসলামভীতি ছড়ানোর ঘটনার দিক থেকে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, এর পরের অবস্থানটাই ইউরোপের।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইউরোপজুড়ে ইসলামভীতির উদ্বেগজনক ঢেউ দেখা যাচ্ছে। পার্সটুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ২০২৪ সালে ইউরোপ বিশ্বে ইসলামভীতিজনিত ঘটনার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরই অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতি দুইজন মুসলিমের একজন বৈষম্যের শিকার হন। অস্ট্রিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্স এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে। অস্ট্রিয়ায় বৈষম্যের হার ৭১ শতাংশ, জার্মানিতে ৬৮ শতাংশ এবং ফিনল্যান্ডে ৬৩ শতাংশ। শুধু অস্ট্রিয়াতেই ২০২৩ সালে ১৫০০–এর বেশি ঘৃণাজনিত অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যা ২০১৫ সালের পর সর্বোচ্চ।

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ইউরোপে চরম ডানপন্থী গোষ্ঠীর উত্থান এবং অনলাইনে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের বিস্তার ইসলামভীতি বৃদ্ধির প্রধান কারণ।

আমেরিকার ইসলামিক স্কুলে বোমা হামলার হুমকির নিন্দা জানাতে আহ্বান

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের লেক্সিংটন শহরের একটি ইসলামিক স্কুলে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের বৃহত্তম নাগরিক অধিকার সংগঠন 'কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস' বা সিএআইআর স্থানীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে তারা এই হুমকিকে প্রকাশ্যে নিন্দা করেন।
সংস্থার জাতীয় উপ-পরিচালক এডওয়ার্ড আহমেদ মিচেল এক বিবৃতিতে বলেছেন,

“দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান ইসলামবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্যের মধ্যে কেন্টাকির একটি ইসলামিক স্কুলে বোমা হামলার হুমকি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কেন্টাকির রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক নেতাদের আহ্বান জানাই — তারা যেন এই ঘৃণামূলক কর্মকাণ্ডকে কঠোরভাবে নিন্দা করেন এবং অঙ্গরাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সংহতি প্রদর্শন করেন। কোনো শিশুকেই কখনোই বিদ্যালয়ে ভয়ের মধ্যে থাকতে হবে না।”#

পার্সটুডে/এসএ/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।