চীন-জাপান সম্পর্কে উত্তেজনা অব্যাহত; এয়ার চায়না'র ফ্লাইট সংখ্যা কমালো বেইজিং
-
এয়ার চায়না'র ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে
পার্সটুডে- চীন ও জাপানের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার চায়না ঘোষণা করেছে, সাংহাই–ওসাকা রুটে ফ্লাইট সংখ্যা কমানো হবে।
এয়ার চায়না জানিয়েছে, সাংহাই ও ওসাকার মধ্যে সপ্তাহে ২১টি ফ্লাইট যাতায়াত করত, ৩০ নভেম্বর থেকে তা কমিয়ে ১৬টিতে আনা হবে। এই পরিবর্তন আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এছাড়া, এই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে চংছিং–টোকিও রুটে সাপ্তাহিক ফ্লাইট সংখ্যা ৭টি থেকে কমিয়ে ৪টিতে নামানো হবে। এয়ার চায়না জানিয়েছে, অপারেশনাল কারণে ফ্লাইট সংখ্যা কমানো হচ্ছে; তবে ধারণা করা হচ্ছে, চীনা সরকারের সাম্প্রতিক নির্দেশনার সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি চীন সরকার তার দেশের নাগরিকদের জাপানে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনা
তাইওয়ান ইস্যুতে সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত জাপানি মন্তব্য চীনা কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, জাপানেরই শত শত নাগরিক টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে। তারা জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির তাইওয়ান বিষয়ক মন্তব্য প্রত্যাহার এবং এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান ও ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়েছে।
তাকাইচি জাপানের সংসদে দাবি করেছেন, “তাইওয়ান নিয়ে চীনের বলপ্রয়োগ জাপানের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এবং তিনি এই ইঙ্গিত দেন যে, তাইওয়ান প্রণালীতে টোকিওর পক্ষ থেকে সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা রয়েছে।
জাপানের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা মিজুহো ফুকুশিমা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকাইচির এই মন্তব্য জাপানকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে এবং এমন অবস্থান মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাকাইচির মন্তব্যের বিরুদ্ধে আইনজীবী, যুদ্ধবিরোধী সংগঠন এবং বিরোধী দলগুলোও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের হুঁশিয়ারি: পানি সীমান্তে হুমকির জবাব দেওয়া হবে
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ‘মিলিটারি মেরিটাইম কনসালটেটিভ এগ্রিমেন্ট’ (MMCA) সম্মেলনে আমেরিকা ও চীনের নৌ ও বিমান বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছে। এতে চীন স্পষ্ট জানিয়েছে, “সমুদ্র ও আকাশপথের স্বাধীনতা”র নামে তার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা দুর্বল করতে পারে এমন যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা দৃঢ় অবস্থান নেবে এবং চীনের বিরুদ্ধে পরিচালিত যেকোনো অনুপ্রবেশমূলক তৎপরতা, উসকানি বা নজরদারি কার্যক্রমের জবাব দেবে।
চীনা প্রতিনিধিদল আরও বলেছে, তারা জাতীয় সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং সামুদ্রিক অধিকার সুরক্ষায় কঠোর অবস্থান বজায় রাখবে, একই সঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে সমর্থন করবে।
আমেরিকা ইন্দো–প্যাসিফিকে সামরিক জোট গড়ে তুলে চীনের প্রতিবেশী অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। চীন বহুবার ফিলিপাইনের মতো আঞ্চলিক দেশগুলোকে বলেছে, তারা যেন বাইরের শক্তিগুলোকে হস্তক্ষেপের সুযোগ না দেয় এবং আঞ্চলিক সমস্যাগুলো নিজেরাই সমাধান করতে সক্ষম।#
পার্সটুডে/এসএ/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।